Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ সোমবার, জুন ২০২৫ | ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

পালিয়ে বিয়ের ১ মাসের মাথায় দ্বিতীয় স্বামীর বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা!

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারী ২০২০, ০৩:৩৪ PM
আপডেট: ১৪ জানুয়ারী ২০২০, ০৩:৩৪ PM

bdmorning Image Preview


নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষীরহাটে পালিয়ে বিয়ে করার ১ মাসের মাথায় স্বামীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ, লুটপাট, ধর্ষণের মামলা করেছে আয়েশা আক্তার নামে এক নারী।

গত রবিবার (১২ জানুয়ারি) রাতে আয়েশা আক্তার বাদী হয়ে সোনাইমুড়ী থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ স্থানীয় চাষীরহাট বাজারের সোলাইমান (৩২) নামে এক ব্যবসায়ীকে আটক করে আদলতে প্রেরণ করে। স্ত্রী আয়েশা আক্তারকে শারীরিক পরিক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার অপর আসামীরা হচ্ছে স্বামী মোরশেদ আলম, ভাশুর মো. আজাদ হোসেন ও স্থানী ইউপি সদস্য মহসিন।

জানা যায়, উপজেলার চাষীরহাট ইউনিয়নের পোরকরা গ্রামের আলী আহমদের ছেলে অজি উল্যার সাথে একই গ্রামের চান মিয়ার মেয়ে আয়েশা আক্তার (৩৭) গত ২০০৭ সালে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের সংসারে ২ কন্যা ও একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিবাহের পর থেকে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ লেগে থাকে।

এ সুবাদে উপজেলার ১ নম্বর জয়াগ ইউনিয়নের ভাওরকোর্ট গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে ও চাষীরহঠের স্থানীয় ব্যবসায়ী মোরশেদ আলমের সাথে আয়শা আক্তারের পরকিয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং তারা একাধিক বার একে অপরের হাত ধরে কয়েক দিনের জন্য উধাও হয়ে যায়।

সর্বশেষ গত বছরের ৯ অক্টোবর আয়েশা আক্তার স্বামী অজিউল্যাকে তালাক দেয় এবং মোরশেদ আলমের সাথে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দেন মোহর ধার্য করে লক্ষ্মীপুর আদালতে নোটারি পাবলিক এর মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের এক মাসের মাথায় আয়েশা আক্তার পিতার বাড়ীতে বেড়াতে এসে পুর্ব স্বামীর সাথে পুন:সখ্যতা গড়ে তুলেন। উভয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তারা থানায় এসে লুটপাট, ধর্ষণ, অপহরণে অভিযোগ এনে ৪ জনকে আসামী করে একটি এজাহার দায়ের করলে পুলিশ এটি নিয়োমিত মামলা রুজ্জু করে এবং সোলায়মানকে আটক করে।

মামলার আসামি আজাদ হোসেন দাবী করে, আমি চাষীরহাটে দীর্ঘদিন সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছি। আমার ভাইয়ের সাথে এই প্রেমের সম্পর্কের কারনে একবার পালিয়ে যাওয়ার পরে আমি নিজে চেষ্টা করে ঐ নারীকে উদ্ধার করে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করি। এখানে অপহরণ বা অন্য কোন বিষয় নেই। একটি মহল অসৎ উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রমুলক আমাকে ফাঁসানোর অপচেষ্টা করছে।

মহসিন মেম্বার দাবী করেন, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উল্লেখিত নারীর ভাশুর নজিরউল্যা আমার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী ছিলো।

এ বিষয়ে কথা হলে চাষীরহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল হোসেন জানায়, মামলার বাদী আয়েশা আক্তারের সাথে দীর্ঘদিনের পরকীয়ার কারণে ইতিমধ্যে তারা একাধিকবার পালিয়ে বিয়ের চেষ্টা করে। শেষবার তারা উভয়ের সিদ্ধান্তে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। এসময় মহসিন মেম্বারসহ গণ্যমান্যরা ঘটনা মিমাংশার চেষ্টা করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করা হয়। এতে স্থানীয় বিভিন্ন বিষয় জড়িত রয়েছে।

সোনাইমুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার দতন্তকারী কর্মকর্তা ইমদাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বাদীর এজহারের ভিত্তিতে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

Bootstrap Image Preview