ইসরায়েলের দখলকৃত জেরুজালেম শহরের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এক ইহুদি রাব্বীকে (ধর্মযাজক) আটক করেছে পুলিশ। পরে সেখান থেকে অর্ধশতাধিক নারী ও শিশুকে উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, তিনি সেই বাড়িতে এদের দাসী বানিয়ে রাখতেন।
পুলিশের বরাতে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘বিবিসি নিউজ’ জানায়, নারীদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়া হতো এবং তাদের নানাভাবে অত্যাচারও করা হতো। যদিও ষাটোর্ধ ওই রাব্বী কোনো ধরনের অন্যায় করেননি বলে দাবি করেছেন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধারের কথা জানিয়ে ইসরায়েলি পুলিশের বিবৃতিতে জানায়, মধ্য জেরুজালেম শহরের সেই বাসাবাড়িতে পাঁচ বছর থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী নারী ও শিশুকে আটকে রাখা হয়েছে। এমনকি তাদের সেখানে দাসীর মতো খাটানো হয়।
ইসরায়েলি পুলিশের মুখপাত্র মিকি রোজেনফেল্ড বলেছেন, আমরা এতটুকু জানতে পেরেছি, তিনি নারীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বদ্ধ ঘরে আটকে রেখেছিলেন। গত কয়েক মাস যাবত তাদেরকে সেখানে আটকে রাখা হয়।
উল্লেখ্য, ইহুদি ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগটি পাওয়ার পর টানা দুই মাস গোপনে তদন্ত চালায় ইসরায়েলি গোয়েন্দারা।