ইরানের মাটিতে ইউক্রেনের প্লেন বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় দেশটিতে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভে গুলি চালানোর অভিযোগ করেছে বিক্ষোভকারীরা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ভিডিওতে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর আওয়াজ এবং রাস্তায় জমাট বাধা ছোপ ছোপ রক্ত দেখা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে গত ৩ জানুয়ারি ইরানের প্রভাবশালী জেনারেল কাসেম সোলেইমানি হত্যার ঘটনায় দুদেশের মধ্যে উত্তেজনার শুরু হয়। সোলেইমানি হত্যার জবাবে ইরান গত বুধবার ইরাকে অবস্থিত মার্কিন দুটি সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। তার ঠিক কয়েক ঘণ্টা পরেই ইরানের খোমেনি বিমানবন্দরের কাছে ইউক্রেনের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় বিমানে থাকা ১৭৬ জন যাত্রী ও ক্রুদের সবাই নিহত হন।
বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় প্রথমে ইরান তাদের কোনোরকম দায় থাকার কথা অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে তাদের ছোঁড়া ক্ষপণাস্ত্রের আঘাতেই বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কথা স্বীকার করে। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় তেহরান নিজেদের দায় স্বীকার করে নেওয়ার পর ইরানের মাটিতে এ নিয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা রোববার রাস্তায় নামলে তাদের ওপর গুলি চালানো হয় বলে তারা অভিযোগ ওঠে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, তেহরানের আজাদি স্কয়ারে বিক্ষোভে গুলি চালানোর পর আহতদের সেখান থেকে বয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রাস্তার ওপর জমাট বাধা রক্ত পড়ে আছে। এছাড়া বিক্ষোভকারীদের পাশাপাশি ভিডিওটিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক পরিহিতদের রাইফেল নিয়ে দৌড়াতে দেখা যাচ্ছে।
এ ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটারে এক টুইটে ইরানের কর্তৃপক্ষের প্রতি বিক্ষোভকারীদের ওপর কোনোরকম হামলা না করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটিতে শোনা যাচ্ছিলো বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিচ্ছে ‘স্বৈরশাসকের পতন হোক’। তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে আরেকদলকে বক্তব্য দিতে শোনা যাচ্ছিলো, ‘তারা মিথ্যা বলে যে আমেরিকা আমাদের শত্রু, আমাদের শত্রুরা এখানেই ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে’।
অপরদিকে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর ঘটনাকে অস্বীকার করে ইরান পুলিশের মুখপাত্র হোসেইন রহিমি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বিক্ষোভে পুলিশ গুলি চালায়নি। পুলিশকে কোনোরকম সহিংসতার পথে যেতে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে।’