নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আমান উল্যাহপুর ইউনিয়নে যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় সাবেক চেয়ারম্যানসহ অন্তত শতাধিক আসামী করা হয়েছে। ঘটনায় এ পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুনুর রশিদ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন, কৃষ্ণরামপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন (৪০), একই এলাকার নূরে আলম (২৬), আমান উল্যাহপুর গ্রামের রনি (২৪), মহেশপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে ছিদ্দিক উল্যা (২২), জামাল উদ্দিনের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন (২৩) ও চৌমুহনী পৌরসভার করিমপুর গ্রামের আলী আকবরের ছেলে মহসিন মিয়া (২৫)।
তিনি আরোও জানান, জামায়াত শিবির কর্মীদের হামলার ঘটনায় আহত যুবলীগ নেতা বঙ্গ মুন্সির ভাই নূর হোসেন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আমান উল্যাহপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনকে প্রধান আসামী করে ৪০জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত নামা আরো ৬০-৭০জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলায় এ পর্যন্ত ৬ জন জামায়াত শিবির কর্মীক গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার আমান উল্যাহপুর ইউনিয়নের এ কে জি ছায়েদুল হক আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে সামনে শিক্ষার্থীদের দিয়ে শিবিরের সদস্য ফরম পূরণ ও লিফলেট বিতরন করতে যায়। এ সময় স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা বাঁধা দিলে শিবিরের লোকজন চলে যায়। এই ঘটনার জের ধরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা পুনঃরায় ঘটনাস্থলে এসে যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০জন আহত হয়।