ইরানের এলিট ফোর্স কুদস বাহিনীর প্রধান জেনারেল সোলেইমানি হত্যার ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, জিহাদিদের ওপর হস্তক্ষেপের ফল হিসেবে জেনারেলের মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে ইরাকে আইএসবিরোধী লড়াই করছে না। সর্বোপরি ইরাক সরকার গত বছর দেশকে আইএস মুক্ত ঘোষণা করেছে। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্র ও তার জোটসঙ্গী দেশগুলোও ইরাকে আইএসবিরোধী অভিযানে অংশ নিচ্ছে না। কারণ এখন তারা প্রধান নজর দিচ্ছেন আত্মরক্ষার দিকে। মূলত বর্তমান পরিস্থিতিতে এর বাইরে অন্য কিছু করার সুযোগ নেই। এ পরিস্থিতি আইএসের জন্য সুবিধাজনক। এ ছাড়া আইএসের জন্য আরেকটি ভালো খবর হলোÑ ইরাকের পার্লামেন্ট থেকে একটি প্রস্তাব পাস করা হয়েছে, যাতে বলা হয়েছেÑ ইরাক থেকে মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহার করতে হবে।
বিবিসি বলছে, ২০১৬-১৭ সালে আইএসের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান চালানো হয়েছে। আইএসের অনেক যোদ্ধা মারা পড়েছে, অনেকে এখন জেলে রয়েছে; কিন্তু তাদের সংগঠন শেষ হয়ে যায়নি। গত মাসেও গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, আইএস পুনঃসংগঠিত হচ্ছে। নানাভাবে শক্তি ও অর্থ সংগ্রহ করছে এবং ইরাকে তাদের তৎপরতা এখন দৃশ্যমান হতে শুরু করছে। এমন সময় সোলেইমানি হত্যা তাদের জন্য শাপেবর হয়েছে। কেননা সোলেইমানি ছিল গোটা মধ্যপ্রাচ্যে চোরাগোপ্তা হামলার অন্যতম কৌশলবিদ। এ কারণে আইএসকে এখন আর সোলেইমানিকে মোকাবিলা না করলেও হবে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, চারটি মার্কিন দূতাবাসে হামলার পরিকল্পনা করেছিল ইরান। এ পরিকল্পনাকে কেন্দ্র করে কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলেও দাবি করেন তিনি। যদিও ৩ জানুয়ারি মার্কিন হামলায় সোলেইমানি নিহত হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প নিজের সাফাই গাইছেন। এ ছাড়া কাসেম সোলেইমানিকে যেভাবে হত্যা করা হয়, ওই একই সময়ে ইরানের আরেক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাকে ইয়েমেনে হত্যার চেষ্টা করে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তাদের সেই হত্যাচেষ্টা ব্যর্থ হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই সূত্রের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।