মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় মা ও ছেলেকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত পারভীনের দেবর সোলাইমানকে আটক করেছে পুলিশ। গতরাতে উপজেলার উত্তর কাউন্নারা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
এদিকে মা ও ছেলের হত্যার রহস্য নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। কেউ বলছেন পরকীয়া, কেউ বলছেন পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
জানা যায়, সাটুরিয়ার উত্তর কাউন্নারা গ্রামের সৌদি প্রবাসী মজনুর স্ত্রী পারভীন আক্তার ও তার চার বছরের ছেলে নুর হোসেন বুধবার রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার সকালে নুর মাদরাসায় পড়তে না যাওয়ায় দাদি রোমেনা বেগম নাতিকে ডাকতে যায়। ডাকতে গিয়ে দেখেন দরজা খোলা। ভেতরে খাটের ওপর তার নাতি নুর ও ছেলের বউ পারভীনের নিথর দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। পুলিশকে খবর দিলে মা ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।
রাতে দুই তলার ফ্ল্যাটের তিনটি রুমের একটিতে নুরের দাদা-দাদি ছিলেন। আরেকটিতে নিহত পারভীনের দেবর সোলাইমান ও ভাতিজা গাফফার ও অন্য একটি রুমে শামছুনাহার ও ভাতিজি হাফছাকে নিয়ে পাশের ফ্ল্যাটে ঘুমান। পশ্চিম পাশের রুমে পারভীন তার ছেলে নুরকে নিয়ে রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, কাজী আ. রহমানের চার ছেলে। বড় ছেলে আ. মান্নান থাকেন মালয়েশিয়া, মেজ ছেলে মজনু সৌদি আরব, সেজ ছেলে নান্নু ইজতেমায় ও ছোট ছেলে মালয়েশিয়ায় লেখাপড়া করে। কিছুদিন আগে সোলাইমান লেখাপড়ার ফাঁকে ছুটি নিয়ে বাড়ি আসেন।
সাটুরিয়া থানার ওসি মো. মতিয়ার রহমান মিঞা বলেন, ঘটনার তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনো কিছু বলা যাবে না। তদন্ত চলছে। দ্রুত সময়ে আসল রহস্য উদঘাটন করা হবে। এ ঘটনায় নিহত পারভীনের দেবর সোলাইমানকে জ্ঞিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।