রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে মজনু। তবে এর আগে র্যাব আরও এক নারী ও পুরুষকে গ্রেফতার করে। তাদের সূত্র ধরেই গ্রেফতার করা হয় মজনুকে।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. ক. সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, ‘গত ৭ জানুয়ারি রাজধানীর কুরাতলা এলাকা থেকে ভিকটিমের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়। ভিকটিমের মোবাইলটি খায়রুল ইসলাম (৩৮) নামে এক রিকশা চালকের কাছ থেকে উদ্ধার হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, সে মোবাইলটি অরুণা বিশ্বাস (৪৫) নামে শেওড়ার এক নারীর কাছ থেকে পেয়েছে। মোবাইলটির ডিসপ্লে ভাঙা থাকায় অরুনা খায়রুলের কাছে মেরামতের জন্য দিয়েছিল। এরপর অরুনাকে এবং তারপর মজনুকে শেওড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়।’
সেদিনের ঘটনার পর ধর্ষক মজনু মোবাইল বিক্রি করে বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে করে নরসিংদী চলে যায়। এরপর নরসিংদী থেকে সে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) আবার ঢাকায় আসে। ঢাকায় এসে সে সারাদিন বনানী ছিল, রাতে শেওড়া এলাকায় আসে। সেখান থেকেই ভোর রাতে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
তিনি বলেন, ‘ধর্ষক মজনুর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়া। দশ বছর আগে সে ঢাকায় আসে। বিয়ের পর তার স্ত্রী মারা যায়। এরপর থেকে সে ভাসমান বুদ্ধিপ্রতিবন্দী ও ভিক্ষুক নারীদের ধর্ষণ করে। সে ছিনতাই ও মাদকসেবী।’