ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে পরিচালিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছেন, ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার মাধ্যমে তারা আমেরিকার 'মুখে চপেটাঘাত' করেছেন।
গতরাতে আমরা তাদের মুখে চড় মেরেছি, বলেন খামেনি।
মঙ্গলবার রাতে ইরাকে দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে একের পর এক মিসাইল ছুঁড়েছে ইরান। ১৯৭৮ সালের কোম বিক্ষোভের স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আয়াতুল্লাহ খামেনি এ কথা বলেন।
এ সময় সমবেত জনতা 'আমেরিকার ধ্বংস চাই বলে শ্লোগান' দেয়। কোম বিক্ষোভের ধারাবাহিকতায় ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লব সংগঠিত হয়।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরো বলেন, যখন সংঘাতের প্রসঙ্গ আসে তখন এ ধরণের সামরিক হামলা যথেষ্ট নয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, আমেরিকার উপস্থিতির দিন শেষ করে দেয়া।
ইরানকে শান্তিকামী দেশ হিসেবে আখ্যা দিয়ে খামেনি বলেন, কেউ যদি তাদের ক্ষতি করতে চায় তাহলে সেটির বিরুদ্ধে জবাব দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে ইরানের।
কাসেম সোলেইমানির শহীদ হবার ঘটনা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে যে ইরানের বিপ্লব কতটা জীবন্ত। মঙ্গলবারের হামলাকে 'সফল' হিসেবে দাবি করেন খামেনি।
ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) এক বিবৃতিতে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও হামলার কথা স্বীকার করেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে কুদস বাহিনীর প্রধান কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে এই হামলা চালিয়েছে আইআরজিসি। কাসেম সোলাইমাইনি হত্যার পর প্রতিশোধ হিসেবে প্রথম শপথ নিল ইরান।