Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ সোমবার, মে ২০২৫ | ২২ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

সোলাইমানির জানাজায় ১০ লাখ মানুষ, লাশের ওপর কাঁদলেন খামেনি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ জানুয়ারী ২০২০, ০৬:২৭ PM
আপডেট: ০৬ জানুয়ারী ২০২০, ০৬:২৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানিসহ নিহতদের জানাজায় লাখো মানুষের ঢল নেমেছে। সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়েন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। জনতার ঢলে আওয়াজ ওঠে, ‘প্রতিশোধ, প্রতিশোধ’।

সোমবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় সোলাইমানির মরদহের প্রতি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা শেষে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

সকালে যখন সোলেইমানির মরদেহ ইনকিলাব চত্বরে পৌঁছায় তখন লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে জনসমুদ্রে রূপ নেয় তেহরান।

পরে সেখান থেকে তার মরদেহ তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি নিহত এই জেনারেলের জানাজায় নেতৃত্ব দেন।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, জানাজায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষের অংশ নিয়েছে। জনস্রোত থেকে বারবার ‘প্রতিশোধ, প্রতিশোধ’ আওয়াজ ওঠে।

তিনদিনের শোক শেষে অনুষ্ঠিত জেনারেল সোলাইমানির প্রথম জানাজা পড়ান ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। সোলাইমানির কফিনের ওপর তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি, কুদস বাহিনীর নতুন প্রধান ইসমাইল কায়ানিসহ ইরানের অন্য অনেক শীর্ষ নেতাও খামেনির পাশে ছিলেন।

এর আগে জানাজায় অংশ নিতে ভোররাত থেকে লাখ লাখ মানুষ তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আসতে থাকেন।

এ সময় জনতার হাতে জেনারেল সোলাইমানি ও আবু মাহদি আল-মুহানদিসের ছবি শোভা পাচ্ছিল। তারা ‘আমেরিকা ধ্বংস হোক’, ‘ইসরাইল নিপাত যাক’, ‘আমার ভাইকে যারা মেরেছে তাদেরকে হত্যা করব’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে অনেকে নিজেদের শিশুসন্তান নিয়ে জানাজায় অংশ নেন।

জানাজা অনুষ্ঠানে নিহত এই জেনারেলের মেয়ে জয়নাব সোলাইমানি বলেন, তার বাবার মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলের জন্য কালো অধ্যায় ডেকে আনবে। উন্মত্ত ট্রাম্প যেন মনে না করেন যে, আমার বাবার মৃত্যুর মাধ্যমে সবকিছু শেষ হয়েছে।

Bootstrap Image Preview