Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ সোমবার, মে ২০২৫ | ২২ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

লিবিয়ায় সেনা পাঠাতে পার্লামেন্টের সায় পেলেন এরদোগান

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩ জানুয়ারী ২০২০, ০১:৩৮ PM
আপডেট: ০৩ জানুয়ারী ২০২০, ০১:৩৮ PM

bdmorning Image Preview


লিবিয়ায় ত্রিপোলির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা ফয়েজ আল-সিরাজের জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের (জিএনএ) সমর্থনে সেনা পাঠাতে একটি বিলে সায় দিয়েছে তুরস্কের পার্লামেন্ট। বৃহস্পতিবার বিলটি ৩১৫-১৮৪ ভোটে গৃহীত হয়।

গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত ও নিহত হওয়ার পর ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ সমর্থিত একটি মনোনীত সরকার রয়েছে। ওই কর্তৃপক্ষকে জাতীয় ঐকমত্যের সরকার (জিএনএ) নামে অভিহিত করা হয়।

তবে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হাতে রয়ে গেছে। পশ্চিমাঞ্চলে জিএনএর কর্তৃত্ব থাকলেও পূর্ব ও দক্ষিণের বেশিরভাগ অঞ্চল হাফতার বাহিনী এলএনএর দখলে।

২০১৯ সালের এপ্রিলে এ বাহিনী লিবিয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

প্রায় পাঁচ বছর ধরে লিবিয়ায় দুটি সরকার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এদের মধ্যে একটি সরকারকে সমর্থন দিয়েছে জাতিসংঘ ও অন্যান্য দেশ। আরেকটি ফিল্ড মার্শাল হাফতারের নেতৃত্বাধীন।

ত্রিপোলির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে জাতিসংঘ। তুরস্ক, ইতালি ও যুক্তরাজ্যও এ সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে।

আর হাফতার বাহিনীর সমর্থনে রয়েছে মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, মিসর ও ফ্রান্স। তবে আন্তর্জাতিক সমর্থনের বিষয়টি স্পষ্ট নয়।

যেমন যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে (জিএনএ) সমর্থন করে এবং শান্তি আলোচনার আহ্বান জানায়।

কিন্তু ২০১৯ সালের এপ্রিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প খলিফা হাফতারকে ফোন দিয়ে লিবিয়ার ব্যাপারে ‘যৌথ স্বপ্নের’ কথা বলেন।

এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান গত সপ্তাহে বলেছিলেন– পার্লামেন্টের অনুমোদন পেলে আঙ্কারা জানুয়ারিতেই লিবিয়ায় সৈন্য ও সরঞ্জাম পাঠাবে।

রাশিয়া, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্ডান সমর্থিত খলিফা হাফতারের বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে নাকাল জিএনএ গত মাসে তুরস্ককে সেনা পাঠাতে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানায়।

ফয়েজ আল সিরাজের সরকারের প্রতি তুরস্কের পাশাপাশি তিউনিসিয়ারও সমর্থন রয়েছে।

ত্রিপোলির আশপাশে জিএনএ ও হাফতারের বাহিনীর সংঘর্ষ অব্যাহত আছে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ত্রিপোলির কেন্দ্রস্থলে হাজারখানেক শরণার্থীর একটি অস্থায়ী ক্যাম্পের কাছে তিনটি মর্টার পড়েছে।

নভেম্বরে লিবিয়ার জিএনএ সরকারের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা ও ভূমধ্যসাগরের সমুদ্রসীমা নিয়ে দুটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি করেছিল আঙ্কারা। সমুদ্রসীমার ওই চুক্তি গ্রিস, ইসরাইল, মিসর ও সাইপ্রাসকে ক্ষুব্ধ করেছে বলেও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার তুর্কি পার্লামেন্টে লিবিয়ায় সেনা পাঠানোর বিল অনুমোদিত হওয়ার পর পরই মিসর এ পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে। আঙ্কারার আগ্রাসী পদক্ষেপ থামাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

তুরস্কের পার্লামেন্টে বেশিরভাগ বিরোধী সদস্যই বিলটির বিরোধিতা করেছেন। তাদের মতে, লিবিয়ায় সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত তুরস্কের জাতীয় নিরাপত্তা ও সেনাদের প্রাণকে বিপন্ন করবে।

অন্যদিকে এরদোগানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেন, উত্তর আফ্রিকা ও ভূমধ্যসাগরে তুরস্কের স্বার্থরক্ষায় এবং লিবিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে সেখানে জিএনএ সরকারের সমর্থনে সেনা পাঠানো খুবই প্রয়োজনীয়।

Bootstrap Image Preview