বাগদাদের একটি বিমানবন্দরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইরানের অন্যতম শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হয়েছেন। নিহত জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ছিলেন ইরানের এলিট কুদস বাহিনীর প্রধান। হামলায় জেনারেল কাসেম ছাড়াও আরো পাঁচজন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন ইরাকি মিলিশিয়া কমান্ডার আবু মাহুদি আল-মুহান্দিস।
বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন হামলায় অন্য ছয়জনের সাথে তিনি নিহত হন বলে খবর বলা হয়েছে। মার্কিন হামলার বিষয়টি মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর ‘পেন্টাগন’ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর জানায়, ‘প্রেসিডেন্টের নির্দেশক্রমে মার্কিন সামরিক বাহিনী বিদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের রক্ষার উদ্দেশে কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।’
হামলার কারণ হিসেবে পেন্টাগনের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘হামলাটি চালানো হয়েছে ভবিষ্যতে ইরানকে হামলার পরিকল্পনা থেকে বিরত রাখার উদ্দেশে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের নাগরিকদের রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে, তারা বিশ্বের যে প্রান্তেই থাকুক না কেন।’
হামলায় ইরাকি মিলিশিয়া কমান্ডার আবু মাহুদি আল-মুহান্দিসও নিহত হয়েছেন বলে ইরাকি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এ তথ্য মার্কিন কর্মকর্তারাও নিশ্চিত করেছেন।
তাঁদের বহনকারী দুটি গাড়ি মার্কিন রকেট হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছে। ইরানি অতিথিকে পাহারা দিয়ে নিয়ে আসছিল পিএমএফের কর্মকর্তারা।
হামলার পর থেকে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের ইরান দূতাবাসের আকাশে একটি মার্কিন ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার টহল দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
মার্কিন বাহিনী ইরাকের আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় চলমান উত্তেজনাকে আরো তীব্র করতে পারে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সম্প্রতি ইরাকের রাজধানীতে মার্কিন দূতাবাস ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়, যার পেছনে ইরানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে যুক্তরাষ্ট্র।