বর্ষবরণের রাতে ছাদে- ইংরেজী নতুন বছরের বর্ষবরণের রাতে বহুতল ভবনের ছাদ থেকে থেকে প’ড়ে এক তরুণীর মৃ’ত্যু হয়েছে। নি’হত ওই তরুণীর নাম সুইটি সূত্রধর (৩০)। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর থানা এলাকার পোদ্দারনগরে। খবর পেয়ে পু’লিশ বহুতলের দুটি ভবনের মাঝের ফাঁ’কা জায়গা থেকে ওই তরুণীর র’ক্তাক্ত লা’শ উদ্ধার করে।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, বর্ষবরণের মাঝেই গভীর রাতে একটি মেয়ের কান্নার শব্দ শুনে পুলিশকে খবর দিয়েছিলেন বহুতলের বাসিন্দারা।
কিন্তু পু’লিশ এসে কাউকে খুঁজে পায়নি। পরে সেই বহুতলের দ’টি ভবনের মাঝের ফাঁকা জায়গা থেকে ওই তরুণীর লা’শ উদ্ধার করা হয়।
পু’লিশ জানিয়েছে, বহুতলের ছাদ থেকে পড়েই মৃ’ত্যু হয়েছে সুইটির। তবে দু’র্ঘট’না নাকি আত্ম’হ’ত্যা, না কেউ ফেলে দিয়েছে, তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এ ঘটনায় সুইটির স্বামী কুন্তল আচার্যকে জেরা করছে পু’লিশ। তাতে কিছু অসঙ্গতিও মিলেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছেন তারা।
পু’লিশ সূত্রের বরাতে খবরে বলা হয়, যাদবপুর পোদ্দারনগর এলাকার ২/২৪ প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের একটি বহুতলের চারতলার ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন কুন্তল এবং তার স্ত্রী সুইটি।
মঙ্গলবার রাতে ওই বহুতলের পুরনো বাসিন্দারা মিলে ছাদে একটি পার্টির আয়োজন করেন। সেখানেই গভীর রাত পর্যন্ত ম’দ খাওয়া, হইহুল্লোড় চলে।
তবে ওই পার্টিতে কুন্তল এবং সুইটি যোগ দেননি। পরে ছাদে গিয়ে নিজেদের দিকের অংশে ম’দ নিয়ে বসেন তারা। একটা সময় একে একে সবাই নেমে এলেও কুন্তল আর সুইটি সেখানেই ছিলেন।
তবে পু’লিশের কাছে কুন্তকের দাবি, শরীর খারাপ লাগায় অন্য বাসিন্দাদের সঙ্গে তিনিও নেমে আসেন।
বুধবার সকালে তরুণীর স্বামী কুন্তল পড়শিদের জানান, তিনি স্ত্রীকে খুঁজে পাচ্ছেন না। ফের যাদবপুর থা’নায় খবর দেয়া হলে পু’লিশ গিয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে।
ছাদে গিয়ে দেখা যায়, দুজোড়া জুতা পড়ে রয়েছে সেখানে। পড়ে আছে কাচের গ্লাসও। তার পাশেই রয়েছে ছোট্ট চৌবাচ্চার মতো ফাঁকা জায়গা।
ওই ফাঁকা জায়গায় ঢোকার দরজার তালা খুলে পু’লিশ দেখে, সেখানে র’ক্তা’ক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন সুইটি। তাকে উদ্ধার করে এম আর বাঙুর হাস’পাতালে নিয়ে গেলে মৃ’ত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
ওপর থেকে পড়ে যাওয়ার যে চিহ্নগুলো ঘটনাস্থলে মিলেছে, তাতে এটি দু’র্ঘট’না বলেই মনে হচ্ছে। তবে মৃ’ত্যুর আগে ওই তরুণীর দে’হে কোনো আ’ঘাত হয়েছিল কিনা, সেটা ময়’নাত’দন্ত রি’পোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে বলে জানিয়েছেন ফরেন্সিক বিভাগ