গত এক বছরে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন ৬৫ জন। বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) তাদের এক প্রতিবেদনে এ পরিসংখ্যান দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ-২০১৯’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালের অন্যতম একটি উদ্বেগের বিষয় ছিল গণপিটুনিতে অনেক মানুষের হতাহতের ঘটনা। বছরের মাঝামাঝি সময়ে ‘পদ্মা সেতুতে মাথা লাগবে’—এই গুজব ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। জুলাই-আগস্ট মাসে হঠাৎ করেই ‘ছেলেধরা’ আতঙ্কে সারা দেশে গণপিটুনিতে নিরীহ মানুষের মৃত্যুর ঘটনা বাড়তে থাকে। প্রচলিত আইন ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি হতাশা থেকে নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়ার প্রবণতার কারণে এ ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটছে বলে বিশেষজ্ঞদের মত।
আসকের জ্যেষ্ঠ উপ-পরিচালক নিনা গোস্বামী প্রতিবেদন তুলে ধরে জানান, আসক’র পরিসংখ্যান অনযায়ী ২০১৯ সালে গণপিটুনির ঘটনায় মোট ৬৫ জন নিহত হয়েছেন। ২০ জুলাই রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন তাসলিমা বেগম রেনু নামের এক নারী। তিনি উত্তর বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন তাঁর শিশুসন্ত্মানকে ভর্তি করার বিষয়ে খোঁজখবর নিতে। কিন্তু স্থানীয় লোকজন তাঁকে ‘ছেলেধরা’ বলে গুজব ছড়িয়ে স্কুলঘরে ঢুকে তাকে গণপিটুনি দেয়। এ ঘটনায় বাড্ডা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- আসকের মহাসচিব তাহমিনা রহমান, নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা, জ্যেষ্ঠ সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবিরসহ আরো অনেকে।