পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসে মাত্র দুজন হিন্দু ক্রিকেটার খেলেছেন। খেলার মাঠে কোনো ধর্মভেদ থাকার কথা নয়; কিন্তু দেশটা সাম্প্রদায়িক পাকিস্তান বলে হিন্দু ক্রিকেটারদের অনেক যন্ত্রণা সইতে হয়েছে। একদিন আগেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন দানিশ কানেরিয়া। অথচ এই ইমরানের বিরুদ্ধে আগে অভিযোগ এনেছিলেন দানিশের মামা এবং পাকিস্তান জাতীয় দলের প্রথম হিন্দু ক্রিকেটার অনিল দলপত।
১৭ বছর আগে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার অভিযোগ করে বলেছিলেন, দেশের বিশ্বজয়ী অধিনায়কের জন্যই তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার সংক্ষিপ্ত হয়ে গিয়েছিল। পাকিস্তানের নামি সংবাদপত্র 'ডন' এ অভিযোগ করে বলেছিলেন, 'ইমরান ও মোহাম্মদ ভাইদের মধ্যে লড়াইয়ে আমাকে বলির পাঁঠা করা হয়েছিল। আমাকে যদি আরও সুযোগ দেওয়া হতো, তাহলে আমি আরও ভালো খেলতে পারতাম।' উল্লেখ্য, মোহাম্মদ ভাইরা (হানিফ, সাদিক, মুস্তাক) পাকিস্তানের হয়ে একসময়ে সম্মানের সঙ্গে খেলেছেন এবং পাকিস্তানের ক্রিকেটে তারা বেশ প্রভাবসম্পন্ন।
দলপতের অভিযোগ প্রসঙ্গে পরে ইমরান বলেছিলেন, 'ওর কি মতিভ্রম হয়েছে? এত বছর পরে ও কেন এ সব কথা বলতে গেল! আমি যে জায়গায় আছি, সেখান থেকে ওর সম্পর্কে মন্তব্য করা সাজে না।' তারপরে অনিল দলপতকে নিয়ে বিশেষ আর কিছু শোনা যায়নি। সম্প্রতি দানিশ কানেরিয়ার ঘটনা সামনে আসার পর ফের ভেসে উঠল পাকিস্তানের এই হিন্দু ক্রিকেটারের নাম।
ওয়াসিম বারি চোট পাওয়ায় অনিল দলপতের জন্য পাকিস্তানের জাতীয় দলের দরজা খুলে যায়। ১৯৮৩-৮৪ সালে করাচিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল অনিলের। অভিষেক টেস্টে ভালই কিপিং করেছিলেন তিনি। সেই টেস্ট জিতেছিল পাকিস্তান। ৯টি টেস্ট ম্যাচ থেকে তার শিকার সংখ্যা ছিল ২৫টি। ১৯৮৪-৮৫ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫২ রান করেছিলেন অনিল। এটাই ছিল তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রান। ১৫টি ওয়ানডে ম্যাচেও খেলেছিলেন। শোনা যায়, ইমরানের বোলিংয়ে বেশ কয়েকটা সুযোগ হাতছাড়া করায় অনিল দলপতের উপরে ক্ষুব্ধ ছিলেন ইমরান।