মুসলমানবিদ্বেষী আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ থেকে বৈশ্বিক মনোযোগ অন্যত্র সরিয়ে নিতে আজাদ কাশ্মীরে নিঃসন্দেহে যে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেন ভারতের হিন্দুত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এক্ষেত্রে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী প্রস্তুত দাবি করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তাকে হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আমি গত পাঁচ মাস ধরে বলে আসছি, অধিকৃশ কাশ্মীর ও মুসলমানবিদ্বেষী আইন থেকে বৈশ্বিক মনোযোগ অন্যদিকে নিয়ে যেতে মোদি-আরএসএস সরকার আজাদ কাশ্মীরে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে পারে।
ঝিলুম জেলার পিন্দ দাদান খানে এক জনসভায় দেয়া বক্তৃতায় ইমরান এসব কথা বলেন। এর কয়েক ঘণ্টা আগে ভারতীয় বাহিনীর গোলায় দুই পাকিস্তানে সেনা নিহত হয়েছেন।
নিহতদের পরিবারের প্রতি সান্ত্বনা জানিয়ে তিনি বলেন, সীমান্তে যে সহিংসতা হয়েছে, সেটা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা না। অধিকৃত কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেয়ার পর সেখানকার আশি লাখ লোককে মূলত বন্দি করে রেখেছেন মোদি। এরপর তিনি নাগরিকপঞ্জি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী নামের দুটি আইন প্রণয়ন করেন।
দেশটির ২০ কোটি মুসলমানকে কোণঠাসা করতে রচিত এই আইনের বিরুদ্ধে ভারতজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা গেছে। এসব বিক্ষোভে পুলিশের নৃশংসতায় এখন পর্যন্ত ২৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইমরান খান বলেন, এই হুমকির বিষয়ে সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকে অবহিত করেছেন তিনি। আর সেনাপ্রধান তাকে বরাবর নিশ্চয়তা দিয়েছেন, তাদের (ভারতীয়) জন্য আমাদের সশস্ত্র বাহিনী প্রস্তুত। পাকিস্তান তাদের জন্য প্রস্তুত।
মোদির বিরুদ্ধে হিন্দু, শিখ ও খ্রিষ্টানসহ ভারতীয় নাগরিকরা রুখে দাঁড়াবে বলে জোরালো বিশ্বাস পাকিস্তানের সাবেক এই ক্রিকেট কিংবদন্তির।
কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, তারা জানেন ৭০-৮০ বছর আগে জার্মানিতে ইহুদিদের বিরুদ্ধে হিটলার যে নিপীড়ন চালিয়েছেন, ভারতেও তেমনটি ঘটতে যাচ্ছে।
পাকিস্তানের কিছু করতে হবে না, ভারতীয়রাই এই নিপীড়ক ব্যবস্থার পতন ঘটাবেন বলেও দাবি করেন ইমরান খান।