গত বছরের ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করার পর নিখোঁজ হন সাংবাদিক জামাল খাশোগি। পরে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বলে জানালেও তার মরদেহের হদিস জানাতে পারেনি সৌদি কর্তৃপক্ষ। পরে এই ঘটনায় মোট ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাঁচজন উচ্চপদস্থ সৌদি কর্মকর্তাকে বরখাস্তও করা হয়। তাদের মধ্যে ছিলেন গোয়েন্দা সংস্থার উপ-প্রধান আহমেদ আসিরি এবং যুবরাজ মোহাম্মদের ঘনিষ্ঠ একজন সহযোগী সাউদ আল-কাহতানি।
গত জানুয়ারিতে এই ঘটনায় রিয়াদের এক ফৌজদারি আদালতে ১১ ব্যক্তির বিচার শুরু হয়। তাদের মধ্যে পাঁচ জনের জন্য মৃত্যুদণ্ড চেয়েছিলেন সৌদি পাবলিক প্রসিকিউটর। কিন্তু এই ১১ জনের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে জাতিসংঘের কর্মকর্তা অ্যাগনেস ক্যালামার্ড জানিয়েছিলেন যে পাঁচ জনের জন্য মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি চাওয়া হয়েছিল, তারা হচ্ছেন ফাহাদ শাহিব আল-বালাউই, তুর্কি মুসারেফ আল-সেহরি, ওয়ালিদ আবদুল্লাহ আল-সেহরি, মাহেদ আবদুল আজিজ মুতরেব এবং ড. সালাহ মোহাম্মদ তুবাইগি।
অভিযুক্ত ১১ জনের বাকি ছয় জন হচ্ছেন, মানসুর ওসমান আবাহুসেইন, মোহাম্মদ সাদ আল-যাহরানি, মুস্তাফা মোহাম্মদ আল-মাদানি, সাইফ সাদ আল-কাহতানি, মুফলি সায়া আল-মুসলিহ এবং আহমদ আসিরি।
আর আজ সোমবার খাশোগি হত্যার ঘটনায় সৌদি আরবের একটি আদালত পাঁচ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। সৌদি আরবের একজন সরকারি কৌঁসুলি একথা জানিয়েছেন। কিন্তু কোন পাঁচ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
এদিকে, খাশোগি হত্যার রায়কে বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে 'মশকরা' করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের কর্মকর্তা অ্যাগনেস ক্যালামার্ড। তিনি বলেন, যারা আঘাত করেছিল বা জড়িত ছিল তারা মৃত্যুদণ্ড পেয়েছে। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের মূলহোতারা কোনো ধরনের শাস্তি পায়নি। তারা শুধু মুক্ত হয়ে হাঁটেছেই না; তদন্ত ও বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করেছে। এটা বিচার ব্যবস্থার বিরোধী। এই ধরনের রায় বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে 'মশকরা' করা ছাড়া আর কিছুই না।