Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৭ শনিবার, জুন ২০২৫ | ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর নুরের ওপর ‘হামলাকারী’ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের দুই শীর্ষ নেতা আটক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৪:২২ PM
আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৪:২২ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরসহ তার সঙ্গীদের ওপর হামলার ঘটনায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত তূর্যকে আটক করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

সোমবার ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বারবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনায় সরকার বিব্রত। হামলার ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক তাকে রাজনৈতিকভাবে নয় অপরাধ মানদণ্ড বিবেচনা করা হবে।

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সেতুমন্ত্রী একথা বলেন। তিনি বলেন, ডাকসুতে যে হামলা হয়েছে তা নিন্দনীয়। হামলার সঙ্গে যারাই জড়িত হোক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রী। দলের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা করছি। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ সরাসরি আমাদের দলের সঙ্গে জড়িত নয়। মঞ্চের একজন ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে শেয়ার করেছি এ ধরণের নিন্দনীয় ঘটনা যারা ঘটায় তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।

এদিকে ডিবি সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি বুলবুলসহ বাকি হামলাকারীদের খুঁজছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, রবিবার ভিপি নুরুল হককে তার ডাকসুর কক্ষে ঢুকে বাতি নিভিয়ে পেটান মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। ভিপি নুরসহ আহতদের অভিযোগ– ছাত্রলীগ এ হামলায় সরাসরি অংশ নেয়।

এ সময় নুরের সঙ্গে থাকা ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্তত ৩০ জনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। দুজনকে ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয়। তাদের মধ্যে রোববার রাত পর্যন্ত ১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই দফায় নুরুল হক ও তার সহযোগীদের রড, লাঠি ও বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। প্রথম দফায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা ডাকসু ভবনে ঢুকে তাদের পেটান।

এর পর ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনঞ্জিৎ চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক (ডাকসুর এজিএস) সাদ্দাম হুসাইন ঘটনাস্থলে আসেন। তাদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফায় হামলা ও মারধর করা হয়। এ সময় ডাকসু ভবনেও ভাঙচুর চালান ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী।

Bootstrap Image Preview