পরিবেশ রক্ষায় গাছের বিলল্প নেই কিন্তু উল্লাপাড়ার বেলকুচি উপজেলায় দেখা গেল সেতুর ভেঙে পড়া ঠেকাতে ব্যবহার করা হয়েছে গাছের গুড়ি। লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের আঞ্চলিক সড়ক পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের মনিরপুরে সড়ক সেতুটি ফাটল ধরা। ফাটল ধরা সেতুটির নিচে কয়েকটি গাছের গুঁড়ি পুঁতে ঠেকনা দিয়ে ঝুঁকিতে পারাপার করানো হচ্ছে।
গত সোমবার সকালে পুরনো ক্ষতিগ্রস্ত এই সেতুটির ওপর দিয়ে ১০ চাকার একটি মালবাহী ট্রাক যাওয়ার সময় সেতুর মাঝখানে বড় ধরনের ফাটলের সৃষ্টি হয়। এবং এর পর থেকেই সড়ক ও জনপথ বিভাগ ভারী যানবাহন বন্ধ করে দেয়।
প্রায় দুই বছর আগে এই সড়ক সেতুর দুই পাশের গাইড ওয়াল ভেঙে যায়। সেই সাথে এর ওপরের পাটাতন বেশ কয়েক ইঞ্চি দেবে যায়। ফলে সড়ক সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। কর্তৃপক্ষ এখানে ভারী যানবাহন না চালানোর জন্য একটি সর্তকীকরণ নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়েও তা কোনো কাজে আসেনি। তারপরও চলত ভারি যানবাহন।
এই রাস্তা দিয়ে তিনটি উপজেলার মানুষ সিরাজগঞ্জ জেলার শহরে প্রতিদিন যাতায়াত করে। ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন যানবাহনে মালামাল পরিবহন করেন। স্থানীয়রা অনেক আগেই ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি মেরামতের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিকট আবেদন করেছিলেন। কিন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেননি।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের উল্লাপাড়া উপবিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে ১৮ ডিসেম্বর এই সেতুটি নিচে কয়েকটি গাছের গুঁড়ি পুঁতে ঠেকনা দিয়ে হালকা যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পঞ্চক্রোশী ইউপি চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম ফিরোজ জানান, গাছের গুঁড়ি পুঁতে এ ধরনের সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করানো রীতিমত ঝুঁকিপূর্ণ। অবিলম্বে এই আঞ্চলিক সড়কের ভাঙা সেতুর পাশে বিকল্প রাস্তা তৈরি করে এখানে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করার ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম প্রামানিকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, দু-চার দিনের মধ্যে এই সড়ক সেতুর পাশে বিকল্প রাস্তা নির্মাণ করে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হবে। তবে এই সড়ক সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে নতুন সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হবে।