কুমিল্লায় স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে রোববার রাতে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় মামলা করেন।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাতে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে এবং গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত ১৮ ডিসেম্বর স্ত্রীর সঙ্গে রাগ করে তার স্বামী কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নাল্লা গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে বের হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া খড়মপুর কেলাশাহর মাজারে চলে যায়। পরে তার স্ত্রী সেখানে তাকে খুঁজে পেয়ে গত শনিবার সন্ধ্যায় (২১ ডিসেম্বর) ট্রেনযোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে শশীদল রেলওয়ে স্টেশনে আসেন।
ট্রেনে এক পকেটমার ওই গৃহবধূর স্বামীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে যায়। গাড়ি ভাড়া না থাকায় তারা শশীদল স্টেশনের প্লাটফর্মে অপেক্ষা করতে থাকেন।
এ সময় স্থানীয় জমির নামে এক লোক তাদেরকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। এক পর্যায়ে জমির ও তার সহযোগীরা রাতে কৌশলে তাদেরকে স্থানীয় পোড়াপুকুর পশ্চিমপাড়ে নিয়ে ওই গৃহবধূর স্বামীকে মারধর করে প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রাখে।
মাহাবুব ওরফে লাবু নামে একজন ওই গৃহবধূকে একাধিকবার নির্যাতন করে। পরে অপর আসামিরা ওই গৃহবধূর শ্লীলতাহানি শেষে শশীদল রেলওয়ে স্টেশন সড়ক দেখিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পিতা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়েরের পর এ কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত পাঁচ জনকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে নজরুল ইসলাম ওরফে নজির (৩৫), নসু মিয়ার ছেলে মাহাবুব ওরফে লাবু (৩২), মৃত আবদুল খালেকের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৫), আবদুল সামেদ খন্দকারের ছেলে নাছির আহম্মদ খন্দকার (৪০) ও মৃত মুলফত আলীর ছেলে জমির (৫০)।
ব্রাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে নির্যাতনের ঘটনার মামলায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।