Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ শুক্রবার, জুলাই ২০২৫ | ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

চলন্ত বাস থেকে ফেলে হত্যা, বাসের সুপারভাইজার-হেলপার গ্রেপ্তার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৫:৪৪ PM
আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৫:৪৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


 

ভাড়া নিয়ে তর্ক-বিতর্কের জের ধরে সুমন হোসেন (৩৪) নামে এক যাত্রীকে চলন্ত বাস থেকে ফেলে হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় দুজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। নিহত সুমন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার মৃত মজিবর রহমানের ছেলে।আটককৃতরা হলেন কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার গোড়ারপাড়ার আনারুল ইসলামের ছেলে সুপার সনি পরিবহনের সুপারভাইজা রোকনুজ্জামান রোকন (৩০) ও একই থানার ধর্মদা গ্রামের জাহাঙ্গীরের ছেলে হেলপার নাসিম উদ্দিন (২০)।

গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে বাস নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঈশ্বরদী থেকে তাদের আটক করা হয়। তবে ঘাতক বাস ও চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি। আটককৃতদের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে।এর আগে নিহত সুমনের স্ত্রী রুমা খাতুন বাদী হয়ে শনিবার দুপুরে সুপার সনি পরিবহন বাসের চালক ও দুই সহকারীকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নিহত সুমনের স্ত্রী রুমা খাতুন জানান, তার স্বামী ঈশ্বরদীর রূপপুর মোড়ে একটি খাবার হোটেলে কাজ করতেন। সেই কারণে পাকশী ঝাউতলায় আমার বাবার বাড়ির পাশে বাসা ভাড়া করে সন্ত্রানদের নিয়ে থাকতেন। গত বৃহস্পতিবার সুমন মেহেরপুর থেকে সুপার সনি বাসে রুপপুরে আসতে ছিলেন। পথে মধ্যে ভাড়া নিয়ে বাসের কন্টাক্টার, হেলপারের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক বাঁধে। এরপর তারা ঈশ্বরদী রুপপুর লালন শাহ সেতুন নিকট এসে চলন্ত গাড়ি থেকে তার স্বামীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (রামেক) ভর্তি করা হয়। সেখানেই সুমন মারা যান।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রূপপুর পারমানবিক ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ বিকাশ চক্রবর্তী জানান, ঘাতক বাস ও চালকে আটক করতে তৎপরতা চলছে।

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী জানান, ঘটনার পর থেকেই লালন শাহ সেতুর সিসি ক্যামেরার ভিটিও ফুটেজ দেখে অপরাধীদের গ্রেপ্তার প্রচেষ্টা চলছিল। শনিবার মামলা দায়েরের পর রাতে তাদের আটক করা হয়। আসামিদের রবিবার দুপুরে পাবনা আদালতে প্রেরণ করা হয়।

 

Bootstrap Image Preview