চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে পূর্ব ঘোষিত আমরণ অনশন কর্মসূচি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে। আন্দোলনকারীরা বলছেন, তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।
সাধারণ ছাত্র পরিষদের সমন্বয়ক জসিম উদ্দিন, দ্বীন মোহাম্মদ, বিজিত সিকদার ও ফাতিন ইসলাহি বলেন, আমরা ৪১তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চাই। বিষয়টি নিয়ে সরকার বিভিন্ন সময় আশস্ত করলেও এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন না করা খুবই দুঃখজনক।তারা আরো বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার দাবিতে ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের ব্যানারে আন্দোলন করে আসছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারীরা মনে করে, যেখানে ১৬০টিরও বেশি দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ন্যুনতম ৩৫ বা বেশি। যেখানে দেশ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বা জনসংখ্যা তাত্ত্বিক সুবিধা কালের মধ্যে থেকেও ৩০ বছর অতিক্রান্ত হলেই উচ্চ শিক্ষিতরা কেন বয়সের জালে আটকে থেকে সরকারি/বেসরকারি সব ক্ষেত্রেই প্রতিযোগিতা করার সুযোগ হারাবে ? বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়টি বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতিহারে থাকা এবং ৩৫ প্রস্তাবটি সংসদে নাকচের পর সামগ্রিকভাবে সৃষ্ট নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া বিবেচনায় সরকার অচিরেই যৌক্তিক এই দাবিটি মেনে নিবে বলেই বিশ্বাস করে আন্দোলনকারীরা।