Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ শুক্রবার, জুলাই ২০২৫ | ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

৮০ হাজারে ধর্ষণ মামলার মীমাংসা, সালিসকারী ৯ মাতবর আটক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৭:০২ PM
আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৭:০২ PM

bdmorning Image Preview


নড়াইল সদরের বোড়ামারা গ্রামের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের মামলা সালিসের মাধ্যমে মীমাংসা করার অভিযোগে মাইজপাড়া ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি সলেমান মোল্যাসহ ৯ সালিসকারীকে আটক করেছে পুলিশ। আটক অন্যরা হলেন, ইউপি মেম্বর সবুর মোল্যা, মোনায়েম শেখ, আবু তাহের মোল্যা, বক্কার মোল্যা, আজিজার মোল্যা, আমজাদ মোল্যা, সুপ্রেম আলম ও আলি মিয়া। আজ শনিবার ভোরে সালিসকারীদের আটক করে পুলিশ। পরে আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে ধর্ষক আমজাদ মুন্সীর বাড়িতে সালিস বৈঠকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলেমান মোল্যার সভাপতিত্বে মাত্র ৮০ হাজার টাকায় সালিসে ফয়সালা হয় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর ধর্ষণ মামলার বিচার।

গত ২ ডিসেম্বর দুপুরে শিশুটির মা-বাবা বাইরে ছিলেন। এ সময় শিশুটিকে তাদের ঘরে ধর্ষণ করেন আমজাদ মুন্সী। শিশুটির চিৎকারে তার ভাবি দৌড়ে এলে আমজাদ তাকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ৩ ডিসেম্বর শিশুটির বোন নড়াইল সদর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। এ ঘটনার পর থেকে আসামি আমজাদ মুন্সী পলাতক।

নির্যাতিত শিশুটির পরিবার জানায়, ৭ ডিসেম্বর প্রথম দফা ও ১১ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফা সালিসে এক লাখ টাকা মামলার বাদীর পরিবারকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরে বৃহস্পতিবার রাতে তৃতীয় দফা সালিসে ৮০ হাজার টাকায় রফা হয়। এর মধ্যে ১০ হাজার গ্রাম্য সালিসকারীরা ও ৭০ হাজার টাকা ভুক্তভোগীর পরিবার পাবে। আর পুলিশের জন্য ‘যা করা দরকার তা’ আসামিপক্ষ করবে বলে সালিসে সিদ্ধান্ত হয়।

নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, মাতবরেরা সালিসে পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা তুলতে পারে। তবে পুলিশের জড়িত থাকার কোনো সুযোগ নেই। পত্রিকায় পুলিশের নাম আসা ঠিক হয়নি। সালিসকারী মাতবরদের আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview