গত সাত দিনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গরু চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। গত রাতেও চরহাজারী থেকে এক ব্যাক্তির পাঁচটি এবং একই রাতে চরপার্বতী ইউনিয়ন থেকে সফি আলম নামের এক ব্যাক্তির একটি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে সিরাজপুর ইউনিয়ন ও চর এলাহী থেকে গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে, চরপার্বতী ইউনিয়নের কদমতোলা এলাকা থেকে বানু, রাজু সহ বিভিন্ন কৃষকের চারটি সহ কয়েকটি এলাকায় গরু চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে। পরপর অনেকগুলো গবাদিপশু চুরির ঘটনায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ওইসব এলাকার কৃষকরা।
গত রাতে চুরি হওয়া পাঁচটি গরুর মালিক মো.হকসাবের বাড়ি চরহাজারী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড এলাকায়। জীবিকা নির্বাহের জন্য তিনি শংকর প্রজাতির পাঁচটি গরু পালন করছিলেন। বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতের কোনও এক সময়ে তার গরুগুলো চুরি হয়ে যায়।
হকসাব জানান,শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনি গরুকে খাওয়ানোর জন্য গোয়াল ঘরে যান। সেখানে গিয়ে গোয়ালঘর শূন্য দেখতে পান।
তিনি আরো জানান, প্রতিটি গরুর মূল্য ৭০-৮০ হাজার টাকার ওপরে। গরুগুলো চুরি হয়ে যাওয়ায় হকসাব এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
এ ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। কৃষকেরা জানিয়েছেন, হালের বলদ, দুধের গাভি চুরি হওয়ার কারণে তারা অর্থনৈতিকভাবে চরম সংকটের মুখে পড়েছেন।
গরু চুরি প্রসঙ্গে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান ' জানান,আজ পাঁচটি গরু ও এর আগে দুটি গরু চুরির অভিযোগ তারা পেয়েছেন।এ ব্যাপারে টহল টিম বাড়ানো সহ তারা কার্যক্রম শুরু করেছেন।