Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শনিবার, জুলাই ২০২৫ | ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রধানমন্ত্রী এত বলার পরও সড়কের মান ভালো হচ্ছে না :অর্থমন্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৬:২৬ PM
আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৬:২৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


সড়কের প্রকল্পের কাজের মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, সড়কের মান নিয়ে অনেক কথা হয়েছে কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী বলতে বলতে বিরক্ত হয়ে পড়েছেন। প্রতিটি একনেক বৈঠকে শুধু সড়কের প্রকল্প। এত সড়ক দিয়ে কী হবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলামকে উদ্দেশ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর বাজেটে আপনাদের ২৫ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। এগুলো কি কার্যকরভাবে ব্যবহার হচ্ছে? যতটুকু ক্যাপাসিটি ততটুকু সড়ক করবেন। একেকটা প্রতিষ্ঠান পনেরোটা বিশটা কাজ নিয়ে বসে আছে। যাদের কোনো ইকুইপমেন্ট নাই, তারাই কাজ করছে। আমরা সবাই বুঝি, জ্ঞানপাপী, কিছুই মানি না।

গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘মহাসড়কের লাইফ টাইম : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর আয়োজিত এ সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যুত্ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একাব্বর হোসেন। আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, বিশিষ্ট কলামিস্ট আবুল মকসুদ, বিশেষজ্ঞগণসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সড়কে ওভারলোড, বৃষ্টিপাত, দোকানপাট এরকম নানা সমস্যা তুলে ধরেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সরকারি কর্মকর্তারা। এসব বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, শ্রীলঙ্কা সাগরবেষ্টিত দেশ। তাছাড়া সারাবিশ্বে অনেক দেশেই সারাবছর বৃষ্টিপাত হয়। তারা কীভাবে সড়ক তৈরি করে। কমপক্ষে ৫০ বছর টেকসই হয় তাদের সড়ক। আর আমাদের দেশে দুই বছরও টেকে না। সড়কে যেই আয়ুষ্কাল ধরা হবে আমরা সেটাই দেখতে চাই। আমরা যখন এলাকায় যাই খারাপ সড়কের জন্য সাধারণ মানুষ গালি দেয়, গাড়ির গ্লাস নামাতে পারি না।

অর্থমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আপনারা মনের আনন্দে প্রকল্প একনেকে নিয়ে আসেন! আমরা অর্থ দেওয়া বন্ধ করে দেব। টোল সিস্টেমকে সম্পূর্ণরূপে স্বয়ংক্রিয় করতে হবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, টোল আদায়ের নামে গাড়ি আটকে সময় নষ্ট ও জ্যাম তৈরি করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রীরও স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিটি মহাসড়কে টোল আদায়ের ব্যবস্থার নির্দেশনা রয়েছে। সড়ক সংস্কারে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণে টাকা না নিয়ে টোলের টাকা দিয়েই সড়ক সংস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তার উপস্থাপনায় কেরানীগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বিআরটিএ অফিসের অব্যবস্থাপনা তুলে ধরেন। সেখানে সাধারণ মানুষের বসারস্থানে সিলিন্ডারের স্তূপের ছবি, অফিসে দালালদের অবস্থান, কর্মকর্তাদের কাজে গফিলতির বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরেন তিনি। শুভাড্যা খালের চিত্র দেখিয়ে তিনি বলেন, একটি খালের মাঝখানে পিলার তৈরি করে খালটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সড়ক বিভাগ কেন বিষয়টি দেখল না। কেরানীগঞ্জের ওপর দিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করা হচ্ছে কিন্তু কন্টেইনার টার্মিনাল থেকে উঠানামার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হলো না, এগুলো প্রকল্প তৈরির আগে কেন দেখা হলো না।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, যারা সড়ক নির্মাণ করে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তাদেরই দেওয়া উচিত। এটা করা হলে একদিকে কাজের মান ভালো হবে অন্যদিকে রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে ভাবনাও কমে আসবে।

Bootstrap Image Preview