রংপুরের পীরগাছায় জেঁকে বসেছে হাড়কাঁপানো শীত। তার মধ্যে হিমেল হাওয়ায় খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। গত তিন দিন ধরে মাঝে মাঝে সূর্য দেখা পাওয়া গেলেও আজ বুধবার সারাদিন সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। ফলে তীব্র শীতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে।
হাড়কাঁপানো শীতে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষগুলো যেতে পারছেন না কাজে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে লোকজন বাড়ির দিকে চলে যাচ্ছে। ফলে হাট-বাজারসহ বিপণিবিতানগুলো ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। শীতের মধ্যেই আবার রাতের বেলায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিও পড়ছে। এতে শীতের তীব্রতা আরো বেড়ে যাওয়ায় শীত বস্ত্রের অভাবে দুস্থ ও অসহায় মানুষ বিপাকে পড়েছেন। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের অবস্থা নাকাল। এই শীতে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন পীরগাছার মানুষজন।
এদিকে, নিম্ন আয়ের মানুষ গরম কাপড়ের জন্য ছুটছেন পীরগাছা রেলওয়ে স্টেশনে গড়ে উঠা ‘হঠাৎ মার্কেট’য়ে। কিন্তু সেখানেও দাম বেশি হওয়ার কারণে কাঙ্ক্ষিত শীতের কাপড় মিলছে না। তীব্র শীতে মানুষের পাশাপাশি কাবু হয়ে পড়েছে পশু-পাখীরাও। পুরাতন কাপড় ও বস্তা দিয়ে গবাদীপশুর শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন কৃষকেরা।
অসহায় ও দরিদ্র পরিবারগুলো শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন। শীতবস্ত্র কেনার মতো সামর্থও নেই। তাই তারা খড় ও শুকনা পাতা কুড়িয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের তিস্তার তীরবর্তী চর ছাওলা গ্রামের রহুল আমীন (৫৫) বলেন, ‘আর কন না বাবা। জারোত কোকড়া নাগি গেছোও, পারলে মোক বাঁচান।’
চর তাম্বুলপুর গ্রামের আলেয়া বেগম (৫০) বলেন, ‘হামরা গরিব মানুষ, গরম কাপড় কোনটে পামো।’