Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১২ শনিবার, জুলাই ২০২৫ | ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে চড়-থাপ্পড় ছাত্রলীগ কর্মীর!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৮:৪৮ PM
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৮:৪৮ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে চড়-থাপ্পড় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একই বর্ষের ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগকর্মীর নাম আরেফিন আলম সানী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের (দ্বিতীয় বর্ষ) আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানার অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

এ ঘটনার বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের ওই ছাত্রী।

লিখিত অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বাস থেকে নেমে বিভাগে যাচ্ছিলেন ওই ছাত্রী। এ সময় পূর্ব সম্পর্ক থাকায় তার রিকশা দাড় করিয়ে কথা বলতে চান আরেফিন আলম। ওই ছাত্রী কথা না বলে রিকশা থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করলে তার ব্যাগ ধরে টানাটানি করেন আরেফিন। পরে মুঠোফোন বের করে ওই ছাত্রী তাঁর বন্ধুদেরকে ফোন দিতে চাইলে ফোন কেড়ে নিয়ে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে দৌড় দেন আরেফিন। সেখানে তাঁদের দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীকে চড়-থাপ্পড় দেন আরেফিন।

পরে ওই ছাত্রী মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে কয়েকজন বন্ধুকে সেখানে ডাকেন। তার বন্ধুরা সেখানে গেলে তাদেরকে ব্লেড বের করে হুমকি দেন আরেফিন। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির কয়েকজন সদস্য ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি শেখ আদনান ফাহাদ সেখানে উপস্থিত হয়ে আরেফিন আলম ও ওই ছাত্রীকে প্রক্টর কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আরেফিন আলম বলেন, ‘ওই ছাত্রীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল। গত কয়েকদিন ধরে আমাদের ঝামেলা চলছিল। সে আমার সঙ্গে কথা বলছিল না। এর কারণ জানার জন্য ওকে ডেকেছিলাম। কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে সে আমাকে চড়-থাপ্পড় দেয়। আমিও সেসময় দুয়েকটা চড় দিয়েছি। পরে তার বন্ধুরাও আমাকে মারতে গিয়েছিল।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্ত ছাত্রও মুচলেকা দিয়েছে। তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। সেই জায়গা থেকে তারা নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করলে ভালো, না করলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।’

Bootstrap Image Preview