Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১১ শুক্রবার, জুলাই ২০২৫ | ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

চার ছাত্রের সহযোগিতায় বলাৎকার করতেন শিক্ষক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৮:৫৬ PM
আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৮:৫৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ছোট সিমলা হাফেজিয়া মাদরাসা শিক্ষক কর্তৃক একাধিক ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক মোবারক হোসেন ও তাকে সহযোগিতা করায় ৪ ছাত্রকে আটক করে সোমবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মোবারক হোসেন জেলার সদর উপজেলার বেতাই চন্ডিপুর গ্রামের দুলু মিয়ার ছেলে।

কালীগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই আবুল খায়ের জানান,কালীগঞ্জ উপজেলার ছোট সিমলা গ্রামের হাফেজিয়া মাদরাসার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রকে বলাৎকার করার অভিযোগ পেয়ে গত রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকসহ সহযোগিতাকারী ছাত্রদেরকে থানায় আনা হয়। এ সময় তাদের গোপন জিজ্ঞাসাবাদে বলাৎকারের ঘটনাটির সত্যতা মেলে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহা. মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, ওই মাদরাসা পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর বাবা কালীগঞ্জ শহরের ফয়লা গোরস্থান পাড়ার হাজেম আলীর দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ওই মাদরাসা শিক্ষক মোবারক হোসেনসহ বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এতে মাদরাসার একাধিক শিক্ষার্থীর দেওয়া তথ্য মতে বলাৎকারের ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রমাণিত হয়। সে কারণে মোবারক হোসেনকে আসামি করা হয়। আর তার এমন অসামাজিক কাজে সহযোগিতা করার অপরাধে ওই মাদরাসার চার শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করে সোমবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ওই মাদরাসার ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী মিকাইল হোসেনের মা ফরিদা খাতুন জানান, তার ছেলে ৫/৬ দিন আগে বাড়ি এসে ঘটনার কথা জানালে তারা অন্য শিক্ষার্থীদের কাছে বিষয়টি যাচাই করেন। এরপর মাদরাসার শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা মিলে সিমলা-রোকনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি বিষয়টি নিয়ে যাচাই বাছাই করেন।

মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতাদের একজন ছোট সিমলা গ্রামের আলী আকবর জানান, ধর্মীয় শিক্ষার জন্য গ্রামের লোকজন মিলে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। ভালোই চলছিল মাদরাসাটি। কিন্তু মাদরাসা পড়ুয়া বাচ্চারা অভিযোগ দিলে প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর থানায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে তিনি শুনেছেন।

সিমলা-রোকনপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন জানান, অভিভাবকদের দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি এলাকার লোকজন নিয়ে শুনানী করে এমন অপকর্মের সত্যতা পেয়েছেন।

Bootstrap Image Preview