তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধিসহ ১৫ দফা দাবিতে পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক-শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ রয়েছে।
রোববার সকাল ৬টা থেকে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ও জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির ডাকে ২৬ জেলায় অনির্দিষ্টকালের এই কর্মবিরতির কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
রংপুর জেলা পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু জানান, কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের সিদ্ধান্তে জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন ও ট্যাংক লরির ভাড়া বাড়ানোসহ ১৫ দফা দাবিতে এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। কারণ, এ সব দাবি বাস্তবায়নে সরকারের মৌখিক আশ্বাস ছাড়া কিছুই পাননি তারা।
কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তে অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘট চলছে বলে রংপুর জেলা পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা সোহরাব চৌধুরি টিটু জানিয়েছেন।
রংপুর জ্বালানি তেল সংরক্ষণাগারের আওতায় রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে মোট ১৫২টি ফিলিং স্টেশনের রয়েছে। এর মধ্যে রংপুরে রয়েছে ৮৫টি।
এসব ফিলিং স্টেশনে ১ কোটি ২৫ লাখ লিটার ডিজেল, ২৫ লাখ ৫০ হাজার লিটার পেট্রোল ও ৪ লাখ ৪০ হাজার লিটার অকটেনের চাহিদা থাকলেও অর্ধেকেরও কম জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে মালিকদের।
এছাড়াও গত ২৬ নভেম্বর বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেই ১ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছিলেন পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ট্যাংক লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও রাজশাহী বিভাগীয় সভাপতি মিজানুর রহমান রতন।
সে অনুযায়ী তিন বিভাগের অন্যান্য জেলার মত বগুড়াতেও রোববার সকাল থেকে সব পেট্রোল পাম্পে তেল বিক্রি বন্ধ রয়েছে। যানবাহনের চালকরা তেল নিতে পাম্পে এসে ফিরে যাচ্ছেন।
সকালে কয়েকটি ফিলিং স্টেশনে ঘুরে দেখা যায় পাম্পগুলো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে ১৫ দফা দাবি সম্বলিত পোস্টার।
মিজানুর রহমান রতন বলেন, “দাবির বিষয়ে সরকারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও শুধু মৌখিক আশ্বাস ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় পেট্রোল পাম্প পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কারণ এ খাতটি এরই মধ্যে অলাভজনক হয়ে পড়েছে। তাই বাধ্য হয়ে চূড়ান্ত কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।”