বেতন-ভাতা বাড়ানোসহ ১১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে সারাদেশে ডাকা নৌযানশ্রমিকদের ধর্মঘট (কর্মবিরতি) প্রত্যাহার করা হয়েছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) দিনভর কর্মবিরতি পালনের পর গভীর রাতে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এরপর থেকে চলাচল শুরু হয় নৌযান। সকাল থেকে পুরোদমে শুরু হয়েছে নৌযান চলাচল।
অনির্দিষ্টকালের জন্য এ ধর্মঘট ডাকার পর লঞ্চ মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে সরকারের তরফে বৈঠকের আয়োজন করে শ্রম অধিদফতর। শ্রম ভবনে শনিবার বিকাল তিনটায় অধিদফতরের সচিব একেএম মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে বৈঠক শুরু হয়। এরপর মধ্যরাতে শ্রমিক নেতারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগ পত্র,পরিচয় পত্র ও সার্ভিস বুক দেওয়া হবে। গত ৪ অক্টোবর নৌ পরিবহন অধিদফতরের সঙ্গে নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশন ও মালিকদের সম্পাদিত প্রভিডেন্ট ফান্ড, কল্যাণ তহবিলসহ ৭টি চুক্তি বাস্তবায়ন করা হবে।
ভারতগামী জাহাজের শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস জটিলতা দূর করা হবে। শ্রমিক পক্ষের মতামত গ্রহণ সাপেক্ষে খোরাকি ভাতার বিষয়টি ২০২০ সালের মার্চের মধ্যে কার্যকর করা হবে। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও শ্রমিকদের ওপর হামলার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যেসব শ্রমিক ২০১৬ সালের গেজেট অনুযায়ী বেতন পায়নি, তাদের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং ডিসেম্বর ২০১৯ সালের মধ্যে গাজী সালাউদ্দিন লঞ্চের শ্রমিকদের সমস্যার সমাধান করা হবে।
নৌ ধর্মঘট প্রত্যাহারে গতকাল বিকেলে লঞ্চমালিকদের সংগঠনের সঙ্গে শ্রম অধিদপ্তরের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কে এম মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের (যা-প) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি বদিউজ্জামান, লঞ্চমালিক সমিতির সহসভাপতি শহীদ ভূঁইয়া অংশ নেন। বৈঠকে কয়েকজন শ্রমিকনেতা উপস্থিত ছিলেন।