Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৮ রবিবার, জুন ২০২৫ | ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

১১ মাস পর আবারও সুবর্ণচরে গৃহবধূকে নয় যুবকের গণধর্ষণ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০১৯, ১০:২৫ PM
আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৯, ১০:২৫ PM

bdmorning Image Preview


নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার দক্ষিণ চর মজিদ আশ্রয়ণ কেন্দ্রে আবারও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ (২৮)।

শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার ৮নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের চর মোজাম্মেল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় সন্ত্রাসীরা ওই নারীর বসত ঘরে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে সব নিয়ে গেছে। পরে স্থানীয়রা অচেতন অবস্থায় ওই নারী উদ্ধার করে এবং শনিবার বিকেলে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। রাতে হাসপাতালে নির্যাতিতা ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আলামত সংগ্রহ করেন চিকিৎসক।

নির্যাতিতা ওই নারী জানান, তার দাদি শাশুড়ির মৃত্যুর কারণে স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। তিনি ঘরে একা ছিলেন। রাত প্রায় দেড়টার দিকে ৯ জন তার দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে। তাদের হাতে দেশীয় বেশ কিছু অস্ত্রও ছিল। এসময় তিনি চিৎকার দিলে অস্ত্র দেখিয়ে একজন মুখ চেপে ধরে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে পাঁচজন পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে এবং তার গলায় ও কানে থাকা স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেয়। এ সময় তাকে মারধরও করে তারা। তিনি ধর্ষণকারী ও হামলাকারীদের সবাইকে চেনেন। তারা এলাকার সন্ত্রাসী।

তিনি জানান, আগামীকাল রোববার (১ ডিসেম্বর) তার দেবরের জামিন চাওয়ার জন্য ঘরে ২০ হাজার টাকা রাখা ছিল। ধর্ষকরা টাকাগুলোও নিয়ে যায়। এ সময় তারা ঘরের সমস্ত আসবাবপত্র তছনছ করে এবং ঘরের বেড়া কুপিয়ে ও পিটিয়ে ভাঙচুর করে। ঘরের বাইরে থাকা দুটি বৈদ্যুতিক লাইট খুলে অন্ধকার করে চলে যায়। ধর্ষকদের তাণ্ডবের আওয়াজে আশপাশের লোকজন এলেও ভয়ে কেউ তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি। এক পর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

নির্যাতিতাকে উদ্ধারকারী প্রতিবেশী এক নারী জানান, সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার পর নির্যাতিতাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে তারা। পরে বিকেলে তাকে প্রথমে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশের পরামর্শে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

তিনি আরও জানান, পুরো আশ্রয়ণ কেন্দ্রের আতঙ্ক স্থানীয় চেয়ারম্যানের বাহিনী হিসেবে খ্যাত এ চক্র। তারা আশ্রয়ণের মানুষকে জিম্মি করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের দ্বারা ওই আশ্রয়ণ কেন্দ্রের একাধিক নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। প্রায় এ ঘটনা ঘটনানো হয়।

এ বিষয়ে চরজব্বার থানা পুলিশের ওসি সাহেদ উদ্দিন ভাঙচুরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নির্যাতিতাকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি। আর সত্যতা না পেলে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর একই ঘটনা ঘটে। এদিন উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে স্বামীকে মারধর করে সন্তানসহ ঘরের মধ্যে বেঁধে রেখে এক গৃহবধূকে (৪০) গণধর্ষণ ও পিটিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার ১১ মাস পর ওই উপজেলায় আবারও গৃহবধূকে (২৫) গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

Bootstrap Image Preview