Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১০ বৃহস্পতিবার, জুলাই ২০২৫ | ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাবরেজিস্ট্রি অফিসে কোটি টাকা গড়মিল, কর্মচারী পলাতক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০১৯, ০৮:০৭ PM
আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৯, ০৮:০৭ PM

bdmorning Image Preview


ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিসে অনিয়ম হচ্ছে দিনের পর দিন থেকেই। এবার অডিট (নিরীক্ষণ) আসার পর বেরিয়ে এলো থলের বিড়াল। চালান জমা দেয়ার নামে অন্তত কোটি টাকার ঘাপলার অভিযোগ পাওয়া গেছে এ অফিসে।

ঘটনা জানাজানি হলে ওই অফিসের কর্মচারী মো. ইয়াছিন মিয়া পালিয়ে গেছেন। ব্যাংকের ভুয়া চালান রশিদ তৈরি করে ইয়াছিন মিয়া টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে ওই আত্মসাতের পরিমাণ ঠিক কত টাকা সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, ইয়াছিন মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় এ বিষয়ে মামলা হতে পারে। ইতিমধ্যেই ইয়াছিন মিয়ার পরিবারের লোকজনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সদর সাব রেজিস্ট্রার মো. মোস্তাফিজুর রহমান শুক্রবার বিকেলে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ইয়াছিন কি পরিমাণ টাকা আত্মসাত করেছে সেটি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাঁর হাতে জমা হওয়া টাকার বিবরণী বের করে সেটি জানার চেষ্টা চলছে।’

ইয়াছিন ব্যাঙ্কে টাকা জমা না দিয়ে সিল জাল করে চালান কপি বানিয়ে এসব টাকা আত্মসাত করেছেন বলে ওই কর্মকর্তা দাবি করেন। তবে মামলা কিংবা এ বিষয়ে পরবর্তী কোনো পদক্ষেপের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

অফিসের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, মিতেন্দ্র নাথ শিকদার নামে এক কর্মকর্তা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের অডিট কার্যক্রম শুরু করেন। গত মঙ্গলবার তিনি সরকারি বিভিন্ন ফি’র চালান ঠিক আছে কি-না সেটি যাচাই শুরু করেন। এক পর্যায়ে সাব রেজিস্ট্রারকে এ বিষয়ে ব্যাংকে খোঁজ নিতে বলেন। ইয়াছিনকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার সাব রেজিস্ট্রার মোস্তাফিজুর রহমান সোনালী ব্যাংকের শাখায় যান। সেখানে গিয়ে কয়েকটি চালান মিলিয়ে দেখেন এগুলোর টাকা জমা হয় নি। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন সিল, স্বাক্ষর জাল করে এসব টাকা জমা দেখানো হয়েছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে অডিট অফিসারকে জানানো হয়।

Bootstrap Image Preview