চাহিদার তুলনায় আমদানি কম হওয়ায় বাজারে এখনো পেঁয়াজের দাম কমছে না। তবে পেঁয়াজের সংকট ও চাহিদার সামাল দিতে সরকারের অনুরোধে সাড়া দেওয়া বড় শিল্পগ্রুপগুলোর আমদানি করা পেঁয়াজ ইতোমধ্যে সমুদ্রপথে জাহাজে দেশে আসতে শুরু করেছে।
এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে ঢাকার মেঘনা গ্রুপের ৮০০ টন ও চট্টগ্রামের বিএসএম গ্রুপের ৭০০ টন পেঁয়াজে এসে পৌঁছেছে। এছাড়াও অন্য ছোট আমদানিকারকদের পেঁয়াজ নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে ভিড়েছে আরও একাধিক জাহাজ।
চট্টগ্রাম দিয়ে প্রথমবার পেঁয়াজের বড় চালান আমদানির পর গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার খাতুনগঞ্জের আড়তগুলোতে কিছু হলেও ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) মিয়ানমারের পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। আর চীনের পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা কমে ৯০ থেকে ১০০ টাকায় দরে বিক্রি হয়েছে।
চট্টগ্রামভিত্তিক বিএসএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল বশর চৌধুরী জানান, আমরা সাধারণত পেঁয়াজ আমদানি করি না। সরকারের অনুরোধে সাড়া দিয়ে পেঁয়াজ এনেছি। বৃহস্পতিবার রাতে বন্দর থেকে ছাড় নিয়ে ২০০ টন পেঁয়াজ ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে পৌঁছেছে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) আরও ৫০০ টন পেঁয়াজ দেশের বিভিন্ন বাজের পৌঁছাবে।
এছাড়া আরও পেঁয়াজ আসার পথে রয়েছে। কিন্তু সরবরাহ দিতে গিয়ে মনে হয়েছে দেশে পেঁয়াজের চাহিদার তুলনায় সরবরাহে অনেক ফাঁরাক। আমার বিশ্বাস ছোট থেকে বড় আমদানিকারকরা মিলে যদি নিয়মিত সরবরাহ বাড়ায় তাহলেই পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসতে বাধ্য হবে।
দেশের পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের অনুরোধে সাড়া দিয়ে বড় শিল্পগ্রুপগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থেকে সমুদ্রপথে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নেয় এস আলম গ্রুপ। গ্রুপটি ৫৫ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিয়েছে।
সিটি গ্রুপ আড়াই হাজার টন এবং মেঘনা গ্রুপও আড়াই হাজার টন করে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেয়। কিন্তু সেসব পেঁয়াজ আসতে দেরি হওয়ায় সরকার আকাশপথে বিমানে জরুরি ভিত্তিতে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করে। উড়োজাহাজে এস আলম গ্রুপ প্রতিদিন ১০০ টন করে পেঁয়াজ দেশে আনছে। যা রাজধানী ঢাকার শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার আরও তিনটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর এসে পৌঁছেছে। এসব জাহাজেও বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ রয়েছে। তবে পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।