বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের আয়োজিত গণশুনানিতে পিডিবির প্রস্তাবিত বিদ্যুতের দাম ২৩ ভাগ বৃদ্ধিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন ভোক্তারা। ভোক্তারা বলছেন, তৈরি পোশাক শিল্পসহ অন্যান্য সব শিল্পেই এখন মন্দাবস্থা চলছে। এই মুহূর্তে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি মরার ওপর খাড়ার ঘা’র সমতুল্য হবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এই গণশুনানির আয়োজন করা হয়।
বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল গণশুনানিতে বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখী বাজারে সাধারণ মানুষ খুব যন্ত্রণার মধ্যে আছেন। ২০১০ সালের মার্চ থেকে এই পর্যন্ত আটবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। তাই এই মুহূর্তে বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর দাবি জানান তিনি। শুনানিতে বিদ্যুতের কুইক রেন্টালগুলো নিয়ে প্রশ্ন তুলেন বিএনপির এই নেতা। তিনি জনগণের ভোগান্তি কমানোর জন্য বিইআরসি’র প্রতি আহবান জানান।
শুনানিতে বিজিএমইএর প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ধারাবাহিকভাবে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এবছর তৈরি পোশাক শিল্পের ৬৯টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে। ফলে আরো অনেক কারখানা বন্ধের উপক্রম দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, এই শিল্পের সঙ্গে প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষভাবে চার কোটি লোক জড়িত। সরাসরি জড়িত ৪৪ লাখ মানুষ। এ মুহূর্তে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে আরো বহু কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর দাবি জানান বিজিএমইএর এই প্রতিনিধি। বিকেএমইএর প্রতিনিধি সজিব হোসেন বলেন, তাদের ১২শ’ কারখানার মধ্যে ইতিমধ্যেই ৬শ’ বন্ধ হয়ে গেছে।
শুনানিতে কমিশনের চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম, কমিশনের সদস্য মিজানুর রহমান, আব্দুল আজিজ খান, রহমান মুরশেদ ও মাহমুদউল হক ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।