Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৮ রবিবার, জুন ২০২৫ | ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

ফাঁসির রায় শুনে জ্ঞান হারালেন জঙ্গি রিগ্যানের মা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০১৯, ০৫:৪৩ PM
আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৯, ০৫:৪৩ PM

bdmorning Image Preview


গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার ৭ আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া অপর একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় শোনার পর জ্ঞান হারিয়েছেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাকিবুল হাসান রিগ্যানের মা রোকেয়া বেগম (৪২)।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১২টার কিছু পর আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান।

রাকিবুল হাসান রিগ্যান বগুড়ার ইসলামপুর পশ্চিমপাড়ার মৃত রেজাউল হকের পুত্র।

সরেজমিনে রিগ্যানে বোনজামাইয়ের বাড়িতে গেলে দেখা যায় রিগ্যানের মা রোকেয়া বেগম চিৎকার করে বলতে থাকের রিগ্যান নির্দোষ। তাকে ফাঁসানো হয়েছে।

রিগ্যানের বোনজামাই আবু হোসেন জানান, রিগ্যান বগুড়া করতোয়া মাল্টিমিডিয়া স্কুল থেকে এসএসসি পাস করার পর শাহ সুলতান কলেজে ভর্তি হয়। কলেজে অধ্যায়নরত অবস্থায় তাবলিগে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সবার অজান্তে রিগ্যানকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় বাড়ির ভাড়াটিয়ার ছেলে সিহাব নামে এক সহপাঠী। এরপর থানা পুলিশ, র‌্যাব অফিস, ডিবি অফিস সহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে নিখোঁজের জিডি করেন। সম্ভাব্য সকল স্থানে রিগ্যান খুঁজে পাওয়া না গেলেও বহু কষ্টে সিহাবের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে দুপচাচিয়া তার বোনজামাইয়ের বাড়ি থেকে সিহাবকে পুলিশে ধরে দেয়া হয়। কিন্তু সেই সিহাব জামিনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ নিরাপরাধ রিগ্যানকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো।

রিগ্যানকে গ্রেফতারের পর তার স্বীকারোক্তী আদায়ে পুলিশ তার ডান পায়ে গুলি করেও স্বীকারোক্তি আদায়ে ব্যর্থ হয়েছে। আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে রিগ্যান তার জবানবন্দিতে বলেছে সে নির্দোষ। জঙ্গি আস্তানায় জঙ্গিরা তাকে জোর করে আটকে রেখেছিল। তাকে বের হতে দেওয়া হয়নি। মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছে। রিগ্যান নির্দোষ। এই রায় মানি না।

রিগ্যানের বোন তানিয়া সুলতানা জানান, তারা দুই ভাইবোন। ছোটভাই রিগ্যান গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে তাদের মা রোকেয়া বেগম খাওয়া দাওয়া ছেড়েছেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। শারীরিক অসুস্থ্যতার কারণে মাকে তাদের বাড়িতে রেখেছেন। সবসময় কান্নাকাটি করেন। ছেলেকে রক্ষা করতে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করছেন। কোরআন তেলাওয়াত করছেন। ছেলের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ শোনার পর থেকে থেমে থেকে জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন। ছেলের শোকে না জানি মাকে হারিয়ে ফেলি।

Bootstrap Image Preview