তাহমিদ হাসিব খান গুলশান হামলার আরেক আলোচিত নাম। হোলি আর্টিজান রেস্তোরায় হামলার ঘটনায় তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে পুলিশকে অসহযোগিতা করার মামলায় তাহমিদ হাসিব খানকে খালাস দিয়েছে আদালত।
হোলি আর্টিজানে হামলার পর যে ১৩ জন জিম্মি সেখান থেকে জীবিত ফিরে আসেন তাদের মধ্যে ছিলেন তাহমিদ খান। তাহমিদ এবং হাসনাত করিম নামের অপর একজনকে এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক রাখা হয়।
গুলশান হামলা থেকে ফিরে আসা এই দুজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক দেখিয়েছিল পুলিশ।
তার মধ্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পরবর্তীতে পুলিশ জানায়, মি. খানের বিরুদ্ধে তারা কোন তথ্য-প্রমাণ পাননি। পরে তাহমিদকে ছেড়ে দেয়া হয়।
তবে তদন্তে পুলিশকে অসহযোগিতার ও তথ্য দিতে অস্বীকৃতির অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।
গত ২০১৭ সালের ২১শে মার্চ ঐ মামলার শুনানি শেষ হয়। সে বছরেরই ১৬ই এপ্রিল তাকে অভিযোগ থেকে খালাস দেন ঢাকা মহানগর আদালত।
কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাহমিদের মুক্তির জন্য তার পরিবার এবং বন্ধুদের তরফ থেকে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক প্রচারণাও করা হয়েছিল।
হোলি আর্টিজান হামলার কয়েকদিন আগে তিনি দেশে ফিরেছিলেন।
মূলত গুলশান হামলার পর জঙ্গিদের সঙ্গে পোজ দিয়ে অস্ত্র হাতে ছবি প্রকাশের পর আলোচনায় উঠে আসে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডা প্রবাসী তাহমিদ হাসিফ খানের নাম। আফতাব গ্রুপের এমডি ব্যবসায়ী ফজলে রহিম খান শাহরিয়ারের ছোট ছেলে তাহমিদ হাসিফ খান হলি আটিজান বেকারিতে হামলার দিন সকালে কানাডা থেকে ঢাকায় আসে। ঢাকার একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে এ লেভেল শেষ করে বড় ভাইসহ কানাডায় যায় তাহমিদ। সেখানে ইউনিভার্সিটি অফ টরেন্টোতে বিশ্ব স্বাস্থ্য বিষয়ে পড়াশোনা করছিলো সে। পহেলা জুলাই সন্ধ্যায় বান্ধবীসহ হলি আর্টিজান বেকারিতে যায় তাহমিদ।
ওইদিন জঙ্গি হামলার সময় দেশি বিদেশি ২০ নাগরিক নিহত হলেও বান্ধবীদের নিয়ে নিরাপদেই ছিল তাহমিদ। তার আগেই তাহমিদের বান্ধবীরা বেরিয়ে আসে সেখান থেকে। গুলশান হামলায় বেঁচে যাওয়া অন্তত ৩১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। সে সময় থেকেই আলোচনায় তাহমিদের নাম।
কিন্তু তাহমিদ এবং হাসনাতের পরিবার বরাবরই দাবী করে আসছে তারা ছিলেন পরিস্থিতির শিকার ।