মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম অধ্যুষিত দেশ সৌদি আরবের তেলক্ষেত্রে চালানো বিধ্বংসী হামলার পেছনে কেবল ইরানই জড়িত। গত ১৪ সেপ্টেম্বর দেশটির বৃহৎ তেলক্ষেত্রে চালানো ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অন্তত চার মাস আগে তেহরানে একটি গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ইরানি রেভল্যুশনারি গার্ডের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের উপস্থিতিতে মূলত সেখানে এই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন চার জনের বরাতে সোমবার (২৫ নভেম্বর) একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা ‘রয়টার্স’। কট্টরপন্থিরা তখন মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার কথাও বলেছিলেন। যদিও সেটি শেষ পর্যন্ত আর অনুমোদন পায়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তি থেকে ওয়াশিংটনের সরে যাওয়া এবং একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ ইস্যুতে তেহরান বর্তমানে উদ্বিগ্ন। এজন্য যুক্তরাষ্ট্রকে কীভাবে শাস্তি দেওয়া যায় সেই বিষয়টি নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হয়।
ইরানি রেভল্যুশনারি গার্ডের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেছিলেন, ‘এখনই আমাদের তলোয়ার তুলে ধরার সময়। কেননা তাদের একটি শিক্ষা দিতে হবে।’
বৈঠকে উপস্থিত চারজনই জানিয়েছেন, বৈঠকের পরিকল্পনাকে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি অনুমোদন দিয়েছিলেন। যদিও সেখানে কঠোর শর্ত আরোপ ছিল যে, এবারের হামলায় যেন কোনো বেসামরিক কিংবা মার্কিনি আঘাতপ্রাপ্ত না হন।
তবে ‘রয়টার্স’ এখন পর্যন্ত খামেনির এই অনুমোদন প্রদানের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। তাছাড়া ইরান এসব অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে। আর সৌদি আরব পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাইছে না।