টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা মুক্তিযোদ্ধা মো. শাজাহান ভূইয়ার মুক্তিযোদ্ধা সনদ ছিঁড়ে ফেলেছেন চিকিৎসক শহিদুল্লাহ কায়সার।
ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার পর ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে সর্বত্র। এদিকে, ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হলেও কর্তৃপক্ষ বলছে বিষয়টি ভুল বুঝাবুঝি।
গত ১৭ই নভেম্বর, টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার মহেলা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মো. শাজাহান ভূইয়া চিকিৎসা নিতে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের অর্থোপ্যাডিক বিভাগে ভর্তি হন। এরপর, ২১শে নভেম্বর, হাসপাতালের ওই বিভাগের প্রধান ও সহযোগি অধ্যাপক ডা: মো. শহীদুল্লাহ কায়সার রোগীর ভিজিটে এসে তার ফাইলে মুক্তিযোদ্ধা সনদ সংযুক্ত থাকায় ক্ষিপ্ত হয়ে তা ছিঁড়ে ফেলে দেন।
পরে, ঘটনাটি প্রকাশ পেলে তা নিয়ে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠে সর্বত্র। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে চিকিৎসকের এমন আচরণ করা ঠিক হয়নি বলে দাবী করছেন তার স্বজনরা।
মুক্তিযোদ্ধা মো. শাজাহান ভূইয়া বলেন, ‘একটু ভালো চিকিৎসার আশায় ফাইলে সনদ রাখা হয়েছিলো। এই কারণেই তিনি আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন। আমার সনদ ছেঁড়া মানে, সকল মুক্তিযোদ্ধার সনদই তিনি ছিঁড়েছেন।’ কঠিন শাস্তির দাবি জানান তিনি।
ওই মুক্তিযোদ্ধাকে হাসপাতালে দেখতে এসে ঘটনার তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও শাস্তি দাবি করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম।
এ বিষয়ে, কথা বলতে রাজি হয়নি অভিযুক্ত চিকিৎসক টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের অর্থোপ্যাডিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শহিদুল্লাহ কায়সার। বিষয়টি ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে বলে জানান তিনি।
ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্টের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানান হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.নারায়ণ চন্দ্র সাহা।
এ বিষয়ে, জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলামের কাছে সঠিক বিচারের জন্য মৌখিক অভিযোগ করেছেন বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম ও জেলার মুক্তিযোদ্ধারা।