Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৯ বুধবার, জুলাই ২০২৫ | ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

সিইসির উপর ক্ষুব্ধ ৪ কমিশনার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০১৯, ১০:২৯ AM
আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৯, ১০:২৯ AM

bdmorning Image Preview


প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার ওপর ক্ষুব্ধ বাকি চার কমিশনার। সিইসির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত না করার অভিযোগ তুলেছেন তারা। চার নির্বাচন কমিশনার তাদের ক্ষোভের কথা ইউনোট (আন অফিসিয়াল নোট) দিয়ে সিইসিকে জানিয়েছেন।

রবিববার চার নির্বাচন কমিশনার যৌথভাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে ইউনোট দেন। এতে সিইসি ছাড়াও ইসির (নির্বাচন কমিশন) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীরের ওপরও তারা ক্ষুব্ধ বলে জানিয়েছেন।

ইউনোটে ক্ষুব্ধ হওয়ার কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন, ইসির কোনো সিদ্ধান্তের ব্যাপারেই তাদেরকে জানানো হয় না। সিইসি আর সিনিয়র সচিব মিলেই সব কাজ করছেন। সম্প্রতি ইসিতে নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা। এতে সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে নোটে উল্লেখ করা হয়।

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী যৌথ স্বাক্ষরিত নোটে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি কমিশনের ৩৩৯ জন কর্মচারি নিয়োগ, আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও সচিবালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কে চার কমিশনারকে কিছুই অবহিত করা হয় নি।

তারা ইউনোটে উল্লেখ করেন, সচিবালয় এককভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যা সংবিধান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ- ১৯৭২, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন- ২০০৯ ও সংশ্লিষ্ট বিধির সুস্পষ্ট লংঘন। তারা এসব বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।

তবে সবকিছু নিয়ম অনুযায়ী হয়েছে উল্লেখ করে ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেন, ‘নিয়োগ অনুযায়ী সবকিছু হয়েছে। নিয়োগে কোনো অনিয়ম হয়নি। ৯০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ১০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষার জন্য ইসি, পিএসসি, জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছেন। নিয়োগে কোনো অনিয়ম হলে কমিশন তদন্ত করে দেখতে পারে। কমিটির সুপারিশ কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী আমি সিইসির কাছে উপস্থাপন করেছি। ২০০৯-১০ সাল থেকে নিয়োগ এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম এভাবেই পরিচালিত হয়ে আসছে।’

চার কমিশনারের অভিযোগের বিষয়ে তিনি  বলেন, ‘ঘরোয়া আলোচনা পাবলিকলি আমার বলা ঠিক হবে না। উনারা ভালো বলতে পারবেন। তবে এইটুকু বলতে পারি যা হয়েছে তা আইন ও বিধি অনুযায়ী।’

জানা গেছে, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে ১২ থেকে ২০ তম গ্রেডের ৩৩৯ জন কর্মচারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ওই পদের বিপরীতে ৮৫ হাজার ৮৯৩ জন আবেদন করেন। এ নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনায় ইসির ব্যয় হয় ৪ কোটি ৮ লাখ টাকা। জালিয়াতির দায়ে মৌখিক পরীক্ষায় ১৩৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়। যুগ্ম সচিব কামাল উদ্দিন বিশ্বাসের নেতৃত্বে ইসির জনবল শাখা এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। এসব নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন চারজন কমিশনার।

Bootstrap Image Preview