বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে মাদক চোরাকারবারির ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও ৪০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।আজ রোববার সকালে উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন: কুতুপালং রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের বাসিন্দা মো. ইয়াসিন (৩০) এবং মো. হোসেন (২২)।
বিজিবি ৩৪ ব্যাটেলিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ বলেন, “নিহত রোহিঙ্গারা গত ১১ নভেম্বর দুই বিজিবি সদস্যকে গুলিতে আহত করেছিলো।”
“দীর্ঘদিন থেকে এই দুষ্কৃতিকারীরা এই এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি ও মাদকের কারবার করে আসছিলো,” বলেও জানান তিনি।বিজিবি-৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ জানান, জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু-চম্পাকাটা সীমান্ত এলাকায় মাদক চোরাকারবারি চক্রের সদস্যরা অবস্থানের খবর পেয়ে বিজিবি ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক চোরাকারবারি চক্র বিজিবি টহল দলের ওপর লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। বিজিবি সদস্যরাও পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
এ সময় বিজিবির গুলিতে দুজন চোরাকারবারি চক্রের সদস্য মারা যান।ঘটনাস্থল থেকে একটি শটগান অস্ত্র, ৪০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।এ বিষয়ে বান্দরবানের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, চম্পাকাটা সীমান্তে টহলে যাওয়া বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে চোরাকারবারি চক্র। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালালে গোলাগুলিতে দুজন নিহত হন। ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের মরদেহ এবং মাদকদ্রব্য ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত ১১ নভেম্বর নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে চোরাকারবারি চক্রের আরও এক দফা গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়ানের নিয়ন্ত্রিত বাইশফাঁড়ি বিজিবি ক্যাম্পের সিপাহি মৃত্যুঞ্জয় এবং সিপাহি ফরিদ উদ্দিনের পায় গুলি লাগে।