Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ রবিবার, জুলাই ২০২৫ | ২২ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

ফালুর ৫১ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০১৯, ১০:৪৭ AM
আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৯, ১০:৪৭ AM

bdmorning Image Preview


বিএনপির বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালুর প্রায় ৩৫ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক এবং ১৬ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তি অবরুদ্ধের (ফ্রিজ) আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের ফালুর সম্পত্তি ক্রোক এবং অবরুদ্ধের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. আল মামুন এ আদেশ দেন।

আবেদন বলা হয়, ফালুর অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়ে তোলেন। এ অবৈধ সম্পদ বিভিন্ন উপায়ে দুবাইয়ে পাচার করেন। এ পাচার করা ১ শ ৮৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা স্থানান্তর, রূপান্তরের মাধ্যমে নিজেদের দখলে রেখে এর অবৈধ প্রকৃতি, উৎস অবস্থান গোপন বা পাচারের প্রচেষ্টায়/ষড়যন্ত্রে সংঘবদ্ধভাবে সম্পৃক্ত থেকে অপরাধ করেছেন। তাই মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২), (৩) ধারার শাস্তিযোগ্য এই অপরাধের কারণে উত্তরা পশ্চিম থানায় গত ১৩ মে মামলাটি দায়ের করা হয়।

বিচারক আদেশে উল্লেখ করেন, আসামি ফালুর স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পত্তি অবরুদ্ধ না হলে তা হস্তান্তর হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। যা পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না। যা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর নিশ্চিত করেছেন।

দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান পারমিশন মামলার মাধ্যমে আদালতে এ আবেদন করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, রোজা প্রোপার্টিজের পরিচালক ফালু। রোজা প্রোপার্টিজের সম্পত্তি মূলত তারই ভাতিজা নাঈম উদ্দিন আহমদের নামে ক্রয়কৃত, যা অবৈধ সম্পদ হিসেবে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত। তাই রাজধানীর কাকরাইলে ২০১৫ সালে ২৩ আগস্টে ক্রয়কৃত ১৬ কোটি টাকার ওই স্থাবর সম্পত্তি অন্যত্র হস্তান্তর করতে না পারে এজন্য ক্রোক করা প্রয়োজন। এ ছাড়া রোজা প্রোপার্টিজের কাওরান বাজারস্থ সাড়ে ৯ কোটি টাকার, রাজীন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি বিডির ২৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকার এবং দুবাইয়ে রোজা এন্টারটেইনমেন্ট এফজেডই ও রোজা ইনভেস্টমেন্ট এলএলসির ৪৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

মামলা নিষ্পত্তির আগে এ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে মামলার উদ্দেশ্যে ব্যাহত হবে।

Bootstrap Image Preview