ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েও টাকার অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছে না কনিকা রানী। এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরিক্ষা দিয়ে ১৫৯৩ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৫৯ তম স্থান অধিকার করে ভর্তির সুযোগ পায়।
কনিকা রানী জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার পূর্ব নওদাবাস গ্রামের ভবানী রায় ও কল্পনা রানীর তৃতীয় সন্তান।
২০১৪ সালে নওদাবাস উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসিতে জিপিএ-৫ ও একই বিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালে এসএসসিতে মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৪.৯১ পেয়ে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পায়। ২০১৯ সালে দইখাওয়া আদর্শ কলেজ থেকে এইচএসসিতে মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করে সে। কিন্তু টাকা যোগার করতে না পারায় ভর্তি হতে পারছেন না কনিকা রানী।
জানা গেছে, কানিকার বাবা একজন দিনমজুর। চার সদস্য নিয়ে তাদের পরিবার। জমি বলতে ৫ শতকের ভিটেমাটি ছাড়া কিছু নেই। কনিকার বাবা অন্যোর বাড়িতে কাজ করে যা আয় করেন তা দিয়ে চলে সংসার।
কনিকার মা কল্পনা রানী বলেন, অভাবের কারণে এসএসসি পাশ করার পর আমার বড় মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেই। কনিকারও বিয়ে দিয়ে দিতাম। কিন্তু তার ইচ্ছা পড়াশুনা করে ভাল কিছু করবে। ছাত্রী ভাল হওয়ায় আমরাও কষ্ট করে হলেও তাকে লেখাপড়া করালাম। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আর আমরা তাকে পড়াশুনা করাতে পাড়বো না। তাকে ঢাকায় পড়ার টাকা আমাদের নেই।
কানিকা রানী বলেন, আমি পড়াশুনা করে মানুষের মত মানুষ হতে চাই। আমি আমি যেন লেখাপড়া শেষ করে আমার কাঙ্কিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারি তার জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চাইছি।
এ বিষয়ে দইখাওয়া আর্দশ কলেজের অধ্যক্ষ মোফাজ্জল হোসেন বলেন, কনিকা রানী এনজন মেধাবী ছাত্রী। সমাজের বিত্তবানরা যদি একটু সহযোগীতা করেন, তাহলে হয়তো মেয়েটি তার পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পাড়বে।