কর্ণফুলী নদীতে দুটি জাহাজের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তলা ফেটে যাওয়া একটি অয়েল ট্যাংকার থেকে তেল ছড়িয়ে পড়েছে। আকস্মিকভাবে ১০ টন জ্বালানি তেল নদীতে পড়ে যাওয়ায় নদীর পরিবেশ মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। তবে ইতিমধ্যে নয় টন তেল নদী থেকে তুলে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক। তবে জোয়ার-ভাটায় আশপাশে ছড়িয়ে পড়েছে অনেক তেল।
গেল বৃহস্পতিবার রাতে কর্ণফুলী নদীর ৩ নম্বর ডলফিন জেটি এলাকায় লাইটার জাহাজ ‘সিটি ৩৮’ ও তেলবাহী ট্যাংকার ‘দেশ-১’ এর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে চট্টগ্রাম বন্দরের কয়েকটি নৌযান নদী থেকে পানি মিশ্রিত তেল সংগ্রহ শুরু করে।
পরিবেশ অধিদপ্তরকে দেয়া এক চিঠিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশ-১ বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত জ্বালানি তেল নিয়ে খুলনায় যাচ্ছিল। রাত ২টার দিকে মাঝনদীতে ‘সিটি ৩৮’ এর ধাক্কায় জাহাজটি ফুটো হয়ে যায়। এতে প্রচুর পরিমাণে তেল কর্ণফুলী নদীতে ছড়িয়ে পড়ে কর্ণফুলী চ্যানেল ও জলজ পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে।
এদিকে, অয়েল ট্যাংকার থেকে তেল নিঃসরণের ঘটনায় পরিবেশ দূষণের অভিযোগ এনে জাহাজ দু’টির মালিককে হাজির হওয়ার নোটিশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশ-১ অয়েল ট্যাংকারটি ওই সময় বন্দরের ডলফিন জেটি-৪ থেকে ১ হাজার ২৫০ লিটার ডিজেল নিয়ে খুলনার উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। লাইটারেজ জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে ট্যাংকারটির একটি ট্যাংক ফুটো হয়ে প্রচুর তেল নদীতে ছড়িয়ে পড়ে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি দল শনিবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও সেখান থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করেছেন। তারা বন্দরের দশ নম্বর জেটির বিপরীতে কোস্ট গার্ডের জিম্মায় থাকায় জাহাজ দু’টিও পরিদর্শন করেন।
দুর্ঘটনার পরপরই জাহাজ দুটির মাস্টারসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি জাহাজ দুটিকেও আটক করে রাখা হয়েছে। বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী দুই জাহাজের মালিকের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হবে।