Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ শনিবার, জুলাই ২০২৫ | ২১ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

ডিসির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন সেই মুক্তিযোদ্ধার সন্তান

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০১৯, ১১:৩৩ AM
আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৯, ১১:৩৩ AM

bdmorning Image Preview


অবহেলা ও ছেলেকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করার ঘটনায় অসিয়ত মোতাবেক রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ছাড়াই দাফন চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন। অসিয়ত মোতাবেক তাকে সেভাবেই দাফন করাও হয়। যে ছেলের চাকরির জন্য তার এই অভিমান, সেই ছেলেও ফিরিয়ে দিয়েছেন জেলা প্রশাসকের (ডিসি) প্রস্তাবিত চাকরি।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ডিসি মাহমুদুল আলম ইসমাইল হোসেনের বাড়িতে যান পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। এ সময় তিনি ইসমাইলের ছেলে নুর ইসলামকে চাকরির প্রস্তাব করেন। এ ছাড়া চাকরি ও বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু তারা ডিসিকে ফিরিয়ে দেন।

এ ব্যাপারে চাকরিচ্যুত নুর ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসক এসেছিলেন। তিনি চাকরি ও সরকারিভাবে থাকার ঘর দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তারা সম্মানের সঙ্গে কথা বলে তাকে বিদায় দেন। তবে কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। তবে ডিসির প্রস্তাব তারা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

নুর ইসলামের ভাষ্য, রাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠ সম্মানটুকু না নিয়ে তার বাবা বিদায় নিয়েছেন। এমন প্রশাসনের দেওয়া চাকরির কোনো নিশ্চয়তা নেই।

নুরুজ্জামান জানান, জেলা প্রশাসক তার ভাইকে চাকরি দেয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু ওই চাকরি তারা গ্রহণ করবেন না। তাদের আশঙ্কা, দুই মাস পর আবার তার ভাইকে চাকরিচ্যুত করা হতে পারে। এ ছাড়া তাদের বাবার প্রতি চরম অবহেলা করা হয়েছে। সরকারের প্রতিনিধি হুইপ ইকবালুর রহিমের দিকে তাকিয়ে আছেন তারা। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই তারা মেনে নেবেন।

দেশব্যাপী সমালোচনার মধ্যে আজ শনিবার রংপুরের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন ও প্রয়াত এই মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী, বড় ছেলে, চাকুরিচ্যুত ছেলে নুর ইসলামের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের মৌখিক অভিযোগ শোনেন।

এ সময় মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইলের স্ত্রী নুর নেহার বেগম ও ছেলে নুরুজ্জামান এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান চান। নুর নেহার জানান, ছেলেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, যার কারণেই স্বামীকে হারিয়েছেন তিনি। এ ঘটনার তদন্ত করে শাস্তি দাবি করেন তিনি।

পরে পরিবারের কাছে লিখিত অভিযোগ চেয়ে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন অভিযোগ পেলে তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন বলে আস্বস্ত করেন।

এদিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ছাড়াই মুক্তিযোদ্ধার দাফন হওয়ার ঘটনায় রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। কমিটির প্রধান জানিয়েছেন, এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Bootstrap Image Preview