Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ শনিবার, জুলাই ২০২৫ | ২১ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

মসজিদে ওয়াজ কম করো: নুসরাতের বাবাকে দাদা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০১৯, ০৬:৫৩ PM
আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৯, ০৬:৫৩ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ফেনীর সোনাগাজীর আলোচিত মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে হাত-পা বেঁধে পুড়িয়ে হত্যা মামলার রায়ের পরও তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক কাটছে না।

শুক্রবার সকালে নুসরাতের কবর জিয়ারত করে মসজিদে জুমার নামাজ পড়াতে যাওয়ার সময় নুসরাতের বৃদ্ধ দাদার কাছ থেকে বিদায় নিতে যান নুসরাতের বাবা।

এ সময় বৃদ্ধ মোশারফ হোসেন ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলেন, মসজিদে ওয়াজ কম করিও। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা কম বলিও। ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মোশাররফ হোসেন।

এদিকে সকাল থেকে নুসরাতের মাকে সান্ত্বনা দিতে আত্মীয় স্বজনরা বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন।

এদিকে নুসরাতের মামলার রায়ের পর পর তাদের ঘরের ডিস লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে থানার ওসি (তদন্ত) মুহাম্মদ খালেদ হোসেন ক্যাবল অপারেটরকে ফোন করে বিকাল ৩টার দিকে সংযোগ লাগিয়ে দেন।

নুসরাতের বড় ভাই মামলার বাদী মাহমুদুল হাসান নোমান জানান, আদালতে রায়ের পর পর আসামিদের আপত্তিকর মন্তব্য আর হুমকিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তারা। বাড়িতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করলেও তাদের পরিবারের সদস্যদের আতঙ্ক এখনও কাটেনি।

নুসরাতের বাবা একে এম মুসা মানিক নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার একটি মসজিদের খতিব ও একটি ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক। তিনি শুক্রবার সকালে নুসরাতের কবর জিয়ারত করে মসজিদে জুমার নামাজ পড়াতে তার কর্মস্থলে চলে যান।

জুমার নামাজের পর প্রিয় বোনের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে কবর জিয়ারত করেন মাহমুদুল হাসান নোমান। নুসরাতের মা নুসরাতের শয়ন কক্ষে ক্ষণে ক্ষণে বিলাপ করছেন। আবার অচেতন হয়ে পড়ছেন।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এ মামলার ১৬ আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। এই টাকা নুসরাতের পরিবারকে দেয়ার কথা বলা হয়েছে।

 

Bootstrap Image Preview