Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ শনিবার, জুলাই ২০২৫ | ২০ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রধানমন্ত্রীকে মন থেকে দোয়া করি: নুসরাতের মা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০১৯, ০১:৩০ PM
আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৯, ০১:৩০ PM

bdmorning Image Preview


ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় আদালত সব আসামির ফাঁসির আদেশ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনেক দোয়া করেছেন নুসরাতের মা শিরিন আক্তার। 

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ১৮ মিনিটে নুসরাত হত্যা মামলার ১৬ আসামির সবারই মৃত্যৃদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

রায়ের পর সোনাগাজী উপজেলায় নুসরাতের বাড়িতে তার মায়ের সঙ্গে প্রতিনিধির কথা হয়। এ সময় তিনি নুসরাতের হত্যা মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

শিরিন আক্তার বলেন, ‘রায় দিছে ঠিক আছে, অতি দ্রুত যেন রায়টা কার্যকর করি হালায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগেও আমাদের পাশে ছিলেন, এখনো আমাদের পাশে থাকবে। উনি আমাদের বলছেন যে, নুসরাত হত্যায় কেউ ছাড় পাবে না। আমি তাকে অনেক অনেক মনেত্তুন দোয়া করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আলহামদুলিল্লাহ অনেক খুশি এবং প্রধানমন্ত্রীর অবদানে মিডিয়ার বাবাদের-ভাইদের অবদানে, জনগণের অবদানে, প্রশাসনের অবদানে আজকে আমার মেয়ের এ রায়টা আমরা পায়ছি। আমি অনেক খুশি।’

এ ছাড়া প্রশাসনসহ গণমাধ্যমের লোকজন হত্যার বিচার চাওয়ায় প্রত্যেককেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন নুসরাতে মা।

রায়ে দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা, সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি রুহুল আমিন, সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম, মাদ্রাসার শিক্ষক আবদুল কাদের, প্রভাষক আফসার উদ্দিন, মাদ্রাসার ছাত্র নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ যোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা পপি ওরফে তুহিন, আবদুর রহিম শরিফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন মামুন, মোহাম্মদ শামীম ও মহি উদ্দিন শাকিল।

গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শ্লীলতাহানি করেন। এ ঘটনায় তাঁর মা শিরিনা আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করলে অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলা তুলে না নেওয়ায় ৬ এপ্রিল মাদ্রাসার প্রশাসনিক ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় বোরকা পরা পাঁচ দুর্বৃত্ত। ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ নুসরাতের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান (নোমান) সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। পরে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। গত ২৮ মে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত শেষে মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে ৮৬৯ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করে।

Bootstrap Image Preview