Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ শনিবার, জুলাই ২০২৫ | ২১ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

এবার ভর্তি পরীক্ষার জন্য বুয়েট শিক্ষার্থীদের ৫ দফা আল্টিমেটাম

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০১৯, ১২:২৭ PM
আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৯, ১২:২৭ PM

bdmorning Image Preview


পূর্ব নির্ধারিত সময়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য ৫ দফার আল্টিমেটাম দিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টায় সংবাদ সম্মেলনে দাবির কথা জানান শিক্ষার্থীরা। 

তারা জানান, আমাদের মোট ১০ দফা দাবি রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়ন হলে ১৪ অক্টোবর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দাবি বাস্তবায়ন না হলে ভর্তি পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।

এর আগে কোনো সমঝোতা ছাড়াই উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বৈঠক শেষ হয়েছে। এসময় শিক্ষার্থীরা জানান, ৫ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক সব কাজ বন্ধ থাকবে। তবে প্রশাসনিক কাজ চলবে। দাবিগুলো হলো-

১. আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত সকল আসামিদেরকে আজীবন বহিষ্কার করে নোটিশ প্রদান করতে হবে।

২. হত্যা মামলা পরিচালনার খরচ ও পযার্প্ত ক্ষতিপূরণ আবরারের পরিবারকে দিতে হবে। তা নোটিশ আকারে বুয়েট প্রশাসনকে ঘোষণা করতে হবে।

৩. সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতির নিষিদ্ধের পর সাংগঠনিক সকল অফিস বিলুপ্ত করতে হবে।

৪. বুয়েটে ঘটে যাওয়া সকল নির্যাতনের জন্য প্লাটফর্ম তৈরি করতে হবে। যেখান থেকে মনিটরিং করা হবে।

৫. বিশ্ববিদ্যালয় হলগুলোর চারপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা সংযোজন ও মনিটরিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।

শিক্ষার্থীরা জানান, এই দাবি মানা হলে মনে করা হবে ভর্তি পরীক্ষার জন্য ক্যাম্পাসে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আর ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে আন্দোলন চলমান থাকবে।

পরে উপাচার্য ড. মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে আগামী ১৪ অক্টোবর নির্ধারিত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সহায়তা চান, কিন্তু শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করেন।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টায় বুয়েটের অডিটোরিয়ামে উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সভা শুরু হয়। সভায় আবরার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা স্থগিতের দাবি জানান।

এ সময় উপাচার্য তাদের কাছে থেকে আলোচনার জন্য কিছু সময় চান। পরে সভার মধ্যেই উপাচার্য উপস্থিত শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। পরে আধা ঘণ্টা পর তিনি আবার যথাসময়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য সহায়তা চান।

উপাচার্য বলেন, সন্তানের কাছে পিতার আকুল আবেদন। ভর্তি পরীক্ষা নিতে দাও। তোমাদের দাবি আদায়ের জন্য অনেক জায়গায় গিয়েছি। তোমাদের দাবি আদায়ের জন্য সচেষ্ট থাকব। পরে কোনো সমাধান ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়।

পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী ১৪ অক্টোবর ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চলমান আন্দোলনের ফলে তা পেছানো হলো। এর আগে গত ৫ অক্টোবর পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হলেও, পূজার কারণে তা পেছানো হয়।

প্রসঙ্গত গত ৩১ আগস্ট সকাল থেকে বুয়েটে ভর্তির অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১২টি বিভাগে এবার প্রথম বর্ষে মোট ১ হাজার ৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করবে বুয়েট। আবেদন করতে হলে শিক্ষার্থীর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ন্যূনতম জিপিএ–৪ থাকতে হবে। এ ছাড়া গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, ইংরেজি ও বাংলা বিষয়ের প্রাপ্ত জিপিএর যোগফল ন্যূনতম ২২ দশমিক ৫০ হতে হবে। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে প্রথম ১২ হাজারের কিছু বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।

Bootstrap Image Preview