নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চার বছরের এক শিশুর ভাঙা পা রেখে ভালো পায়ে প্লাস্টার করে দিয়েছেন জরুরি বিভাগের পিয়ন জামাল মিয়া। পরে বিষয়টি টের পেয়ে চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারী ভালো পায়ের প্লাস্টার খুলে ভাঙা পায়ে প্লাস্টার করে দেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার বিকেলে খালিয়াজুড়ি উপজেলার চাকুয়া ইউনিয়নের পাথরা গ্রামের পরিতোষ সরকারের চার বছরের শিশু সন্তান প্রীতমের ডান পা ভেঙে যায়।
এ অবস্থায় মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতীমকে নিয়ে যান বাবা পরিতোষ। পরে প্রীতমের ভেঙে যাওয়া ডান পা প্লাস্টারের জন্য জরুরি বিভাগে পাঠান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সুবীর সরকার।
কিন্তু জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক তানভীর হাসান উপস্থিত না থাকার সুযোগে শিশু প্রীতমের ডান পায়ের চিকিৎসা করান ওয়ার্ডবয় জামাল মিয়া। সেই সঙ্গে শিশুটির ভাঙা পা রেখে ভালো পায়ে প্লাস্টার করে দেন ওয়ার্ডবয়। পরে শিশুটিকে নিয়ে বাসায় চলে যান বাবা পরিতোষ।
রাতে শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে নিয়ে তার বাবা ফের মোহনগঞ্জ হাসপাতালে আসেন। পরে জরুরী বিভাগের ময়না নামে চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারী প্রীতমের ভাল পায়ের প্লাস্টার খোলে ভাঙ্গা পা প্লাস্টার করে দেয়।
টিএইচও ডা. নূর মোহাম্মদ শামছুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।