Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ রবিবার, জুলাই ২০২৫ | ২২ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

আবরার হত্যার বর্ণনা দিলেন প্রত্যক্ষদর্শী দুই ছাত্র

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০১৯, ১১:২৫ AM
আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৯, ১১:২৫ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদকে ক্রিকেটের স্টাম্প আর প্লাস্টিকের মোটা দড়ি (স্কিপিং রোপ) দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছিলেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে মাটিতে শুয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে মাটি থেকে তুলে আবারও পেটাতে থাকেন তাঁরা। ঘণ্টা কয়েক পর বমি করতে শুরু করেন আবরার। তিন বার বমি করার পর নিস্তেজ হয়ে যান। 

সেদিনের ভয়াবহ সেই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বুয়েট শিক্ষার্থী মহিউদ্দীন ও আরাফাত। বুধবার আবরারের শেষ সময়ের প্রত্যক্ষদর্শী এই দুজন সেসব ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।

মহিউদ্দীন বলেন, ‘যখন ও পড়ে ছিলো তখন এক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ও নাটক করতেছে, ওরে ফেলে রাখ। আমি দিনরাত ঘুমাইতে পারি নাই। আমি ওরে জীবিত দেখছি বাঁচাইতে পারি নাই। আমারে মাফ করে দিস তুই।’

মহিউদ্দীন জানান, মৃত্যুর কিছু মুহূর্ত আগে ভোররাতে সিঁড়িতে আবরারকে কাতরাতে দেখেও ছাত্রলীগ নেতাদের হুঙ্কারে মহিউদ্দীন আবরারকে বাঁচাতে যেতে পারেননি। পরে যখন তিনি আবরারের কাছে পৌঁছাতে পেরেছিলেন তখন আবরারের সারা শরীর ঠাণ্ডা ছিল, তখন সে আর বেঁচে ছিলো না।

বুধবার (০৯ অক্টোবর) বেলা দেড়টার দিকে বিক্ষোভে অংশ নিয়ে আরাফাত বলেন, তিন-চার মিনিট আগে তিনি যদি সেখানে উপস্থিত হতে পারতেন, তাহলেও হয়তো আবরারকে বাঁচানো যেত।

আরাফাত জানান, পড়া শেষে রাতে নিচে খাবার আনতে বেরিয়েছিলেন তিনি। তখন তোশকের মধ্যে একজন পড়ে থাকতে দেখেন।

তিনি বলেন, তখন চিন্তায়ও আসেনি এরকম হতে পারে। খোদার কসম, এক সেকেন্ডের জন্যও মাথায় আসেনি এভাবে কাউকে মারা হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, যখন আবরারের হাত ধরেন, তখন হাত পুরো ঠাণ্ডা, পা ঠাণ্ডা। শার্ট-প্যান্ট ভেজা। তোশক ভেজা। মুখ থেকে ফেনা বের হয়েছে।

তিনি বলছিলেন, ‘তখন ওকে বাঁচানোর জন্য বুকে চাপ দিই। হাতে চাপ দিই। আশপাশের সবাইকে বলি, কেউ একজন ডাক্তারকে ম্যানেজ কর। এরপর ডাক্তার আসল। ডাক্তার দেখে বলেন, ১৫ মিনিট আগেই সে (আবরার) মারা গেছে।’

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ওই দুই ছাত্রসহ অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয় রাজপথে।

 

Bootstrap Image Preview