বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে ছাত্রলীগের সম্পৃক্তায় বিব্রত আওয়ামী লীগ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেউ যেন রাজনীতি করতে না পারে সেজন্য দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এদিকে, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ জানিয়েছে আবরার হত্যাকাণ্ডে বুয়েট ছাত্রলীগের ১১ জনের সম্পৃক্ততার প্রাথমিক প্রমাণ তারা পেয়েছেন।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর অনিয়ম দুর্নীতির কারণে ছাত্রলীগের শীর্ষপদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয় সংগঠনের সভাপতি শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে। এরপরই অনেকটা চাপে ছিল ছাত্রলীগ।
এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গতকাল সোমবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগ। এ ঘটনাটি তোলপাড় সৃষ্টি করে দেশজুড়ে।
ছাত্রলীগের এ ধরনের ঘটনা দলের জন্য অস্বস্তিকর বলে জানান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বাকিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, 'মেধাবী ছাত্রেরা এ ধরনের কাজে জড়িয়ে পড়ছে। এটি একটি উদ্বেগজনক ব্যাপার। আমরা চাই না এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশে ঘটুক। এরকম জায়গায় আওয়ামী লীগের জিরো টলারেন্স।'
গতকালের এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ২ সদস্যর তদন্ত কমিটি করে জড়িত থাকার অভিযোগে বুয়েটের ১১ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে সংগঠনটি।
তবে, প্রাথমিক তদন্তে হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি উল্লেখ করে পূর্ণাঙ্গ তদন্তে আসলে আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তারা।
রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। সোমবার ভোরে শের-ই-বাংলা হলের প্রথম ও দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির মধ্যবর্তী জায়গায় আবরারের নিথর দেহ পাওয়া যায়। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল।
আবরার ফাহাদ বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (ইইই) বিভাগের লেভেল-২ এর টার্ম ১ এর ছাত্র ছিলেন। তিনি শের-ই-বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়া শহরে। কুষ্টিয়া জেলা স্কুলে তিনি স্কুলজীবন শেষ করে নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।