Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৭ সোমবার, জুলাই ২০২৫ | ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

আগামীকাল থেকে ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ অক্টোবর ২০১৯, ১২:১০ PM
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৯, ১২:১০ PM

bdmorning Image Preview


মা ইলিশ রক্ষায় প্রধান প্রজনন মৌসুম হিসেবে আগামী ৯ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ ধরা ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ সময়ের মধ্যে মেঘনা নদীর চাঁদপুরের মতলব উত্তর ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত যে কোনো ধরনের মাছ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন ও মজুদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অফিস জানায়, চান্দ্রমাসের ভিত্তিতে প্রধান প্রজনন মৌসুম ধরে এ বছর আশ্বিন মাসের প্রথম চাঁদের পূর্ণিমার দিন এবং এর আগে চার ও পরের ১৭ দিনসহ মোট ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। এই হিসেবে ৯ থেকে ৩১ অক্টোবর ইলিশ ধরা ও বিক্রির পাশাপাশি সরবরাহ, মজুদও নিষিদ্ধ থাকবে।

আশ্বিনী পূর্ণিমার সময় যেসব জেলার নদ-নদীতে ইলিশ মাছ পাওয়া যায় সেখানকার জেলেদের এ সময় খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। এ আদেশ অমান্য করলে কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ড ভোগ করতে হবে। নিষিদ্ধ সময়ে সারা দেশের মাছের ঘাট, মৎস্য আড়ত, হাট-বাজারে অভিযান চালানো হবে। 

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান এক বৈঠকে বলেন, চাঁদপুর নদীতে মাছ রক্ষায় সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। কোনোমতেই নদীতে মাছ ধরতে জেলে নামতে দেওয়া হবে না। চেয়ারম্যানদের ওপর যাতে মানুষ আস্থা রাখতে পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে। ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে আমাদের যা করণীয় আমরা সেটাই করব। গত বছর নিষিদ্ধের সময় ছিল ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর।

১৯৮৫ সালের মাছ রক্ষা ও সংরক্ষণ বিধি অনুযায়ী প্রতি বছর আশ্বিনী পূর্ণিমার সময় ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। এর আগে ইলিশ মাছ ধরার নিষিদ্ধের সময় ছিল ১৫ দিন। প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন ফিস রুলস সংশোধন করে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধের সময় ২০১৬ সালে বাড়িয়ে ২২ দিন করা হয়। এই সময়ে জেলেদের ভিজিএফের আওতায় চাল দিয়ে থাকে সরকার। প্রত্যেক জেলে পরিবার ৩০ কেজি করে চাল পেয়ে থাকে।

Bootstrap Image Preview